টিকটকে পর্নোগ্রাফি, নিষিদ্ধ করতে বললো ভারতের আদালত

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০৬ | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

পর্নোগ্রাফিকে প্রশয় দেওয়ার অভিযোগে জনপ্রিয় চীনা ভিডিও অ্যাপ্লিকেশন টিকটককে নিষিদ্ধ করার জন্য কেন্দ্রকে বলেছে ভারতের মাদ্রাজ হাই কোর্ট।  টিকটক এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন যাতে ব্যবহারকারীরা বিশেষ প্রভাব ব্যবহার করে ছোট ছোট ভিডিও তৈরি এবং শেয়ার করতে পারেন। ভারতে ৫৪ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীরা টিকটক ব্যবহার করেন।

মাদ্রাজ হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ অ্যাপটির বিরুদ্ধে একটি পিটিশনের শুনানির করে বুধবার জানিয়েছে, টিকটক ব্যবহার করে এমন শিশুরা যৌন শিকারীদের কাছে সহজেই যোগাযোগ করে ফেলছে যা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। খবর এনডিটিভির।

মাদুরাইয়ের আইনজীবী মুথু কুমার এই পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনে পর্নোগ্রাফি প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অবনমন, শিশু নির্যাতন, আত্মহত্যার উল্লেখ করে তিনি আদালতকে টিকটক নিষিদ্ধ করার অনুরোধ করেন।

বিচারপতি এন কিরুবাকরন এবং এসএস সুন্দর, শিশুদের অনলাইন শিকার হওয়া থেকে আটকাতে ১৬ ফেব্রুয়ারির আগেই মার্কিন দেশের অনলাইন গোপনীয়তা সুরক্ষা আইনের মতো আইন প্রণয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

টিকটকের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, কোম্পানি স্থানীয় আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আদালতের আদেশের একটি অনুলিপির অপেক্ষায় রয়েছি, এরপরেই সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘নিরাপদ এবং ইতিবাচক ইন-অ্যাপ পরিবেশ বজায় রাখা আমাদের অগ্রাধিকার।’

আদালত জানিয়েছে, টিকটকের ‘বিপজ্জনক দৃষ্টিভঙ্গি’ হচ্ছে ‘অনুপযুক্ত’ বিষয়। এর মাধ্যমে অচেনা অজানাদের সঙ্গে শিশুদের সরাসরি যোগাযোগের একটি সম্ভাবনা আছে। ওই আদেশে বলা হয়, এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে বানানো ভিডিওগুলি গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে পারে।

কয়েক মাস আগে, তামিলনাড়ু বিধানসভায় এআইএডিএমকে সাংসদ থামিমুন আনসারি সাংস্কৃতিক অবনমনের অভিযোগ তুলে টিকটককে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। রাজ্যের আইটি মন্ত্রী মণিকানন্দন বলেন, তিনি এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে যাবেন।

২০১৯ সালে ভারতে চালু হওয়া টিকটক সোশ্যাল ভিডিও অ্যাপটি বেইজিংয়ের বাইটডান্স সংস্থার তৈরি। ফেব্রুয়ারিতেই সারা বিশ্বের এক বিলিয়ন মানুষ এটি ডাউনলোড করেন। এটি ২০১৮ সালে চতুর্থ সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া গেম ব্যাতীত অ্যাপ্লিকেশন।

ঢাকা টাইমস/০৪এপ্রিল/একে