মানবিক উপাখ্যান `বিসুখ` শুক্রবার রাতে মাছরাঙ্গায়

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:০০

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

জনপ্রিয় নাট্যকার ও পরিচালক শৌর্য দীপ্ত সূর্য রচিত একক কাহিনীচিত্র `বিসুখ` আসছে ছোটপর্দায়। শুক্রবার রাত ৯টায় প্রচারিত হতে যাচ্ছে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে।

শৌর্য দীপ্ত সূর্য নাটকটির গল্প ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন। পরিচালনা করেছেন এস এম সাইফুল।

নাটকটির অভিনয়শিল্পীরা হলেন- আবুল হায়াত, রিচি সোলায়মান, ইন্তিখাব দিনার, আহসান কবির, খলিলুর রহমান কাদেরী, তরিকুজ্জামান তপন, নোমান খান ও শিশুশিল্পী এস কে রাইতা।

উত্তরা, মতিঝিল ব্যাংক কলোনি ও কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে চিত্রায়িত হয়েছে মানবিক উপাখ্যানটি।

গল্প সংক্ষেপ 

সৎ সরকারি চাকরিজীবী লোকমানকে তার স্ত্রী রিতা একদিন সাইক্রিয়াটিস্ট ডা. হাসনাতের কাছে নিয়ে যান। ডা. হাসনাতের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়্যাক্ট করেন লোকমান। জানান, তিনিতো অসুস্থ নন, অসুস্থ আসলে তাদের আট বছরের একমাত্র সন্তান মিশু।

ডা. হাসনাত মিশুর কথাই শুনতে চান। রিতা বলেন, তার স্বামী সৎ- এটাই তাদের গর্ব। জীবনে কোনোদিন লোকমান একটি পয়সাও অসৎ পথে উর্পাজন করেননি।

তখন জানা যায়, তাদের আনন্দঘন সংসারে সুখের সংসারে দুঃখ নেমেছে। মাঝেই মাঝেই তাদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তো। একদিন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা মিশুকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। ডাক্তার জানিয়েছেন, মিশু জটিল দুরারোগ্য হজকিন লিম্ফোমা রোগে আক্রান্ত। দেশে এই রোগের চিকিৎসা নেই। বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। আর এজন্য অনেক টাকার দরকার।

এই সময় সাইক্রিয়াটিস্ট ডা. হাসনাত মিশুর ডাক্তারি কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু রিতা জানান, তিনি কাগজপত্র আনতে ভুলে গেছেন। রিতার এই উদাসীনতা লোকমানের ভালো লাগে না। সন্তানের কাগজ আনতে চলে যান তিনি।

এই ফাঁকে রিতা জানান, লোকমান টাকা জোগাড়ে হন্যে হয়ে নেমেছেন। অফিসের প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ঋণ করেছেন। বাড়ির শেষ সম্বল ভিটামাটি বিক্রি করেছেন। রিতাও মান-সন্মানের দিকে না তাকিয়ে তার বাবার বাড়ির অংশের টাকা ভাইদের কাছ থেকে নিয়ে এসেছেন।

কিন্তু আরো টাকার দরকার। যখন আর কোনো পথ খোলা থাকে না, তখন লোকমান প্রতিদিন রাস্তায় রাস্তায় বাসে বাসে ছেলের ছবি গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে টাকা সংগ্রহে নেমে পড়েন। এটা জানতে পেরে অফিসের এক অসৎ সহকর্মী তাকে অবৈধ কাজের অফার করেন।

অন্যদিকে রাস্তায় রাস্তায় টাকা তোলার ঘটনাটা এক সময় রিতা জেনে যান। অফিসের লোকজনও জেনে যান। লোকমানের অফিস থেকে থেকে প্রথমে সবাই একমাসের বেতন দিয়ে দেন। এরপর সরকারি উদ্যোগেও সারা দেশের সব কর্মচারীর কাছ থেকে একদিনের বেতন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এর মধ্যেই মিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।  লোকমান রাস্তায় রাস্তায় টাকাও সংগ্রহ করতে থাকেন। তার সন্তান কি সুস্থ হয়ে উঠবে? লোকমান কি অসৎ হয়ে উঠবেন?

এ রকম টান টান উত্তেজনায়ই শেষ হয় ‘বিসুখ` নামের মানবিক উপাখ্যানটি।

(ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/এআর)