বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার অবসান

ব্যুরো প্রধান, বরিশাল
| আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৫৬ | প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৫৩

টানা ১২ দিনের আন্দোলনের পর অবসান হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার। শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবির অনেকগুলো মেনে নেয়ায় তারা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হাসিনুর রহমান। এছাড়া শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে হল পূর্ণরূপে চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমসহ বরিশালের প্রশাসন, শিক্ষক, সুশীল সমাজের সদস্যরা। সার্কিট হাউসে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে এই বৈঠক।

রুদ্ধদ্বার বৈঠক থেকে বের হয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন। আমরা কখনোই চাইবো না আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ে কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করুক।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে যে ২২ দফা দাবির কথা বলে আসছিল তা মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। পাশাপাশি ভিসি ইমামুল হককে ছুটিতে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বৈঠক থেকে এবং এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তিনিই গ্রহণ করবেন।’

বৈঠকে উপস্থিত আন্দোলনরত ছাত্র নেতা সিফাত বলেন, ‘বৈঠকে যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের সঙ্গে একমত হয়েছি আমরা। তাই মিটিংয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের যে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলাম তারা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর হানিফ, বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, বিএমপি কমিশনার মোশারফ হোসেন, জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান, ডিজিএফআই বরিশালের কর্নেল শরিফুল ইসলামসহ শিক্ষক প্রতিনিধি ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা।

প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারণে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়া হলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়।

একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। এরপর শিক্ষার্থীরা টানা ১২ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/আরটি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :