পদ্মায় উদ্ধার সেই লাশের পরিচয় মিলেছে

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ২২:০৩ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৪৪

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মাদারীপুরের পদ্মায় শিবচর থানা পুলিশের উদ্ধার অজ্ঞাতনামা পরিচয় লাশ শনাক্ত করেছেন তার স্বজনরা। নিহত ইকবাল মাহমুদ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং গ্রামের মৃত শাহ মোহাম্মদ এমরানের একমাত্র ছেলে। তিনি চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টিং (সিএ) পড়ার কারণে ঢাকার পান্থপথ এলাকার ইউটিসি বিল্ডিং-এ ইন্টার্নি করতেন।

নিহত ইকবাল মাহমুদ চার বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই। তার বাবা গত এক মাস আগে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ভাইয়ের মৃত্যুর কোন কারণ বলতে পারছেন না তার পরিবারেরর স্বজনরা।

শিবচর থানা পুলিশ ও তেজগাঁও থানার জিডির সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের পদ্মা নদী থেকে গত ২ এপ্রিল ভোরে পুলিশ প্রায় ২৮ বছরের এক যুবকের ভাসমান ও গলিত লাশ উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক ওই লাশের পরিচয় জানা যায়নি। তাই অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়। পরে আঞ্জুমানে মফিদুলের মাধ্যমে লাশ সেখানে দাফন করা হয়।’

নিহতের বোন সাদিয়া ইশরাত বলেন, ‘ইকবাল মাহমুদ চ্যার্টার অ্যাকাউন্টিং পড়ার কারণে ঢাকার পান্থপথ এলাকার ইউটিসি বিল্ডিংয়ে ইন্টার্নি করত। গত ৩১ মার্চ সেখান থেকে আর বাড়ি ফিরেনি। তিনি-চার দিন খোঁজাখুঁজির পর কোথাও না পেয়ে তেজগাঁও থানায় আমরা একটি জিডি করি। মোবাইল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ইকবাল মাহমুদের সর্বশেষ অবস্থান দেখায় শিবচরে। তাই আমরা শনিবার সকালে শিবচর থানায় এসে ভাইয়ের কাপড় ও জুতা দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার ভাইকে কারা এবং কেন খুন করেছে- কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।’

শিবচর থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্লা জানান, ‘যেহেতু লাশ শনাক্ত করা হয়েছে, তাই ইকবাল মাহমুদের লাশ উত্তোলন করে তার স্বজনরা নিয়ে যেতে ইচ্ছে পোষণ করেন। সে কারণে মাদারীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লাশ ফেরত নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এলএ)