১৬০০ প্রতিনিধি নিয়ে শুরু যুব সম্মেলন
‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ স্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘যুব সম্মেলন ২০১৯’। দেশের শীর্ষ উন্নয়ন সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আয়োজক। মাঠপর্যায় থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রায় এক হাজার ৬০০ যুব প্রতিনিধি এতে অংশগ্রহণ করে।
রবিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, বক্তব্য দেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশের যে অভাবনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাধিত হয়েছে, তার পেছনে তরুণ-যুবদের সক্রিয় ও উৎসাহব্যঞ্জক অংশগ্রহণ ছিল।’ বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক সমাজ গঠনে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। পিকেএসএফ তার কার্যক্রমের মাধ্যমে যুব সমাজের প্রতিটি সদস্যকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে যুব নারী ও পুরুষের নৈতিকতার উন্নয়ন, নেতৃত্ব বিকাশ ও টেকসই-কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পিকেএসএফ কাজ করে যাচ্ছে।’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ একটি সমৃদ্ধ, মর্যাদাশীল সমাজ গঠনে পিকেএসএফ শক্তি ও সামর্থ্য যুগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাঠপর্যায় থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রায় এক হাজার ৬০০ যুব প্রতিনিধির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের প্রথম দিনে দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেমিনারে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা’ এবং ‘দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান’, এবং দ্বিতীয় সেমিনারে ‘সামাজিক ব্যাধি: বাল্যবিবাহ, যৌতুক, মেয়েদের উত্ত্যক্তকরণ ও মাদকাসক্তি’, ‘সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘সাম্য ও মানব মর্যাদা’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তৃণমূল থেকে আসা যুবরা। প্রথম সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, দ্বিতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
এছাড়া, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ রচিত ‘বাংলাদেশ আমার ঠিকানা’ ও ‘ওই মহামানব’ শীর্ষক দু’টি কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রথম দিনের আয়োজন শেষ হয় জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘জলের গান’-এর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে।
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/জেআর/জেবি)