যৌন হয়রানি: আন্দোলনের মুখে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ২০:১৩

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত  শিক্ষককে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক আক্কাস আলীকে এক বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর আবদুর রহিম খানকে সভাপতি করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের কাছে যৌন হয়রানির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলেও প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা না গ্রহণ করায় রবিবার সকাল থেকে ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত এবং ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ আরও চার দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

এসময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে কুশপুতুল পোড়ায়। পরে রেজিস্ট্রার প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

রেজিস্ট্রার নূর উদ্দিন বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।'

(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/জেবি)