সাতজনকে সম্মাননা জানালো ইডিইউ

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ২২:২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজ সমাবর্তন আয়োজন। চট্টগ্রামে সম্প্রতি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রথম সমাবর্তন আয়োজনের সাক্ষী হয়। বৃহৎ এই আয়োজন সফল করে তুলতে যারা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি সম্মানিত করেছে তাদের।

শনিবার দুপুর ১২টায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ফ্যাকাল্টি ও প্রশাসনের সাতজনকে ‘রিকগনিশন অব অ্যাক্সট্রা অর্ডিনারি ইফোর্ট অ্যান্ড ইম্প্যাক্ট’ শিরোনামে অ্যাওয়ার্ড ও সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ও প্রশাসনের সর্বমোট ২০০ জনের মধ্য থেকে এ সাতজন নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে ফ্যাকাল্টি মেম্বার তিনজন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা চারজন। তারা হলেন- স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহকারী অধ্যাপক এটিএম মাহমুদুর রহমান, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের সহকারী অধ্যাপক অনন্যা নন্দী এবং প্রশাসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার ফারহানা সিগমা, সহকারী ম্যানেজার মোফাজ্জল উদ্দিন, সিনিয়র অ্যাক্সিকিউটিভ মো. জোনাইদ হোসেন চৌধুরী, সিনিয়র অ্যাক্সিকিউটিভ জুলেখা তুজ জোনস।

কর্মীদের কাজের স্বীকৃতি দেয়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানকে ধন্যবাদ জানান সমাবর্তন নির্বাহী কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা। তিনি বলেন, ‘ইডিইউর সমাবর্তন সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। অনেকেই রাত-দিনের হিসাব ভুলে গিয়ে কাজ করেছেন। এমনকি ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান নিজে নির্ঘুম রাত পার করেছেন কাজ করতে গিয়ে। সবাই প্রত্যেকের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন, কিন্তু তিনি সব বিভাগের কাজেই জড়িত ছিলেন সর্বাঙ্গীণভাবে, অভিভাবকের মতো।’

এ অনুষ্ঠানে নির্বাচিতদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। তিনি সমাবর্তনে নিরলস পরিশ্রমের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রাণ হলেন আপনারা। আপনারা প্রত্যেকেই নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সফল করে তুলেছেন আপনাদের এই প্রথম সমাবর্তন। কিন্তু কেউ কেউ থাকে যারা সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাদেরকে সম্মানিত করার মাধ্যমে আমরা অবদান রাখা সবাইকেই সম্মানিত করতে চেয়েছি। কেননা, স্বীকৃতি কাজের উদ্যোম বাড়িয়ে দেয়। মানুষের যে কোনো কাজের পেছনে সর্বোচ্চ চাওয়া থাকে সেই কাজের স্বীকৃতি।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর শাফায়াত কবির চৌধুরী, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিনসহ পুরো ইডিইউ পরিবার।

(ঢাকাটাইমস/৭এপ্রিল/এলএ)