থামছে না শেয়ারবাজারের পতন, বিক্ষোভ

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৫৬ | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শেয়ারবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার আরেক দফা পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে আরও তলালিতে নেমেছে দেশের শেয়ারবাজার। 

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমে আরও নিচে নেমে গেছে। একইসঙ্গে কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের দিন থেকে বেড়েছে ডিএসইতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে। যা তিন মাস ১১ দিন বা ৬৬ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আজকের চেয়ে কমে অবস্থান করছিল ডিএসইএক্স। ওই দিন ডিএসইএক্স ছিল পাঁচ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে। আজ অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৪০ ও ১৯২৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি টাকার। যা আগের দিন থেকে ৮৮ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৩০ কোটি টাকার।

এদিন ডিএসইতে ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৫টির বা ১৩ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৭৩টির বা ৭৯ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির বা ৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর। কোম্পানিটির ৫৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে গ্রামীণফোন এবং ১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইউনাইটেড পাওয়ার।

টপটেন লেনদেন উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে - ফরচুন সুজ, ইস্টার্ন কেবলস, মুন্নু সিরামিক, স্কয়ার ফার্মা, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৮ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর। সিএসইতে আজ ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

এদিকে, শেয়ারবাজারে অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বিনিয়োগকারীরা বাজার স্থিতিশীলতায় ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। এরমধ্যে রয়েছে ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা। এছাড়া জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেটের বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানে বাধ্য করা ইত্যাদি।

মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, শেয়ারবাজারে পতন হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। পাতানো খেলার মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম প্রভাব ফেলানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২০১০ সালের রাঘব বোয়ালরা জড়িত। যাদের নাম ইব্রাহিম খালেদের তদন্তে উঠে এসেছিল। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

মিজান বলেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান মন্দাবস্থায়ও আইসিবি শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় রয়েছে। বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত।

(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/আরএ/জেবি)