নাজিরপুরে কৃমিনাশক খেয়ে ২৪ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

পিরোজপুরের নাজিরপুরে কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে উপজেলার নাওটানা বিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে পড়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নাওটানা বিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলী আশ্রাফ জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী মৃনাল হালদার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ান। এর আধা ঘণ্টা পরই প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী লক্ষ্মী শিকদার অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে একে-একে একই শ্রেণির সুমি শিকদার, সুমাইয়া আক্তার, লিজা আক্তার, ইভা সরকার, ইলা সরকার, সাকুরা কনা, সপ্তম শ্রেণির মানছুরা আক্তার, লামিয়া আক্তার, স্বর্না বড়াল, রামিয়া আক্তার, নার্গিস আক্তার, দশম শ্রেণির মীম আক্তারসহ অন্য শিক্ষার্থীরা অসুস্থ’ হয়ে পড়ে।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসা দেয়া হয়। পড়ে তাদের অবস্থা গুরুতর হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেয়া হয়। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে একই বিদ্যালয়ের শিবানী হাওলাদার, সাদিয়া আফরিন, অঞ্জলী রানী, ফাল্গুনী আক্তার, শিউলী আক্তার, লাইজু আক্তার, মানসুরা আক্তার, রিমা খানম, তন্নী খানম, সুমাইয়া খানম, তামান্না আক্তার ও আজাহার মলি¬ক নামের এক ছাত্রসহ ২৪ অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসা চলছিল।

চিকিৎসাধীন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তার জানায়, ওই কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ার ১৫/২০ মিনিট পরই তার প্রথমে বমি বমি ভাব, পরে প্রচ- পেটে ব্যাথা ও হাত-পা খিচুনি অনুভব হয়।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাকুরা খানমও এইক অনুভূতির কথা জানায়। তার কয়েকবার বমিও হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, আমি নিজেই অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের বড় কোনো সমস্য অনুভব হচ্ছে না। এটা মাস রিঅ্যাাকশন (গণ প্রতিক্রিয়া) নামে একটি রোগ। এটা একজনের হলে এর দেখাদেখি অন্য কারও এটা হয়ে থাকতে পারে। কৃমিনাশক ওষুধের সমস্যায় এ ঘটনা ঘটেনি।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে যান ও তাদের খোঁজ খবর নেন।

ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/ইএস