কর্ণফুলী তীরের অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী তীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে।
গত রবিবার করা এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই আদেশ দিল। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
উচ্চ আদালতের আদেশের আড়াই বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ দিন বন্দরনগরীর সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
আর পতেঙ্গার নদী মোহনা থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় কর্ণফুলীর দুই তীর থেকে আরও দুই হাজার ১১২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। তবে প্রথম পর্বের অভিযান শেষে আর উচ্ছেদ অভিযান না হওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে।
মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হাঠৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আমরা আজকে একটা আবেদন করেছিলাম।’
‘শুনানিতে আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যে, আগে যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল সেখানে ডেপুটি কমিশনারসহ আরও পাঁচ বিবাদীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।’
মনজিল মোরসেদ জানান, এখন যে জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা আছে সে জায়গাগুলো মূলত বন্দরের। এই জন্য বন্দরের চেয়ারম্যানকে একটা নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছিলাম।
শুনানি শেষে বন্দরের চেয়ারম্যান ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো জরিপ প্রতিবেদন ও আরএস অনুসারে উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত। ১৯ মে পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/ডিএম