ছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা: অধ্যক্ষের ভাগ্নি আটক

ফেনী প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৫৬
দগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রী

ফেনীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায়ে জোবায়ের নামে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপিকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলি এলাকার আবুল বশারের ছেলে জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর রাতেই আটক করা হয় পপিকে। তিনি অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের সহপাঠী। নুসরাতের মতো পপিও এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।

এ নিয়ে মামলায় এজাহারভুক্ত তিনজনসহ দশজনকে গ্রেপ্তার করা হল। তাদের মধ্যে সাতজন কারাগারে এবং বাকিদের পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতেই সোনাগাজীর চনচান্দিয়ার বাসা থেকে পপিকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, ‘নুসরাতের জবানবন্দিতে নাম আসা শম্পাকে খুঁজতে গিয়ে জড়িত সন্দেহে নুসরাতের সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপিকে আটক করেছি আমরা। নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সঙ্গে পপির সম্পৃক্ততা আছে কিনা এবং এ ঘটনায় জড়িতদের সন্ধান পেতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

গত মার্চে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ‘শ্লীলতাহানির’ অভিযোগ এনে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করে নুসরাতের পরিবার। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষ তার অনুসারীদের দিয়ে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ। শরীরের ৮০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়া নুসরাত ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

সেখানে পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে নুসরাত বলেছেন, গত শনিবার সকালে ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বোরখা পরা চার নারী তাকে মামলা তুলে নিতে বলে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওড়না দিয়ে তার হাত বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, মুখ ঢাকা থাকায় ওই চারজনকে চিনতে পারেননি। তবে এক পর্যায়ে তাদের একজন আরেকজনকে শম্পা নামে ডেকেছে, সেটা তার মনে আছে।

নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ভাইয়ের করা করা মামলায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- পৌর কাউন্সিলর মাকসুল আলম, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সাবেক ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নূর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহম্মদ ও হাফেজ আবদুল কাদের। এছাড়া ঘটনার সময় ‘হাতমোজা, চশমা ও বোরকা’ পরিহিত আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।

ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :