অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা

চার্জশিট বিষয়ে বাদীকে তলব

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:১২

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর (১৪) আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার চার্জশিট উপস্থাপনের পর বাদীকে তলব করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছিল আহসান চৌধুরীর আদালতে ওই চার্জশিট উপস্থাপিত হয়।

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর মামলায় তিনজন আসামি ছিলেন- ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনা। চার্জশিটে প্রথম দুজনকে অভিযুক্ত করলেও হাসনা হেনার অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

মামলার তিন আসামির উপস্থিতিতে তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন স্থায়ী করারও আবেদন জানান।

শুনানি শেষে আদালত চার্জশিটের বিষয়ে বাদী দিলীপ অধিকারীর কোনো অভিযোগ আছে কি না তা জানতে আগামী ৩০ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন দিয়েছেন। একইদিন পর্যন্ত আসামিদের জামিনের মেয়াদও বাড়িয়েছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ২৫ মার্চ আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়ম অনুসারে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল রাখা নিষিদ্ধ থাকলেও গত বছরের ২ ডিসেম্বর অরিত্রী মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেন। যা পরীক্ষা চলাকালে হলের শিক্ষিকা আফসানা আমতু রাব্বী অরিত্রীর কাছ থেকে নিয়ে নেন এবং পরদিন বাবা-মাকেসহ স্কুলে আসতে বলেন। অরিত্রী পরদিন সকাল ১১টার দিকে স্কুলে এসে মা-বাবাকে নিয়ে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কিছু সময় বসে থাকার পর তিনি অরিত্রী ও তার মা-বাবাকে আসামি জিন্নাত আক্তারের কাছে নিয়ে যান। দেখেই তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে মেয়েকে টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। তখন মা-বাবা অরিত্রীকে নিয়ে আসামি নাজনীন ফেরদৌসের রুমে যান। সেখানে অরিত্রী নাজনীন ফেরদৌসের পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তার মা-বাবাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু নাজনীন ফেরদৌস তাদের কথাবার্তা ও ক্ষমা প্রার্থনায় কর্ণপাত না করে তিনিও টিসি দিয়ে দেবেন বলে জানান। এতে অরিত্রীর মা-বাবার সঙ্গে নাজনীনের কথা কাটাকাটি হওয়ার সময় অরিত্রী বাসায় চলে যান। এবং আসামি নাজনীন ও জিন্নাত আক্তারদের নির্মম আচরণে কারণে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার এবং অশিক্ষিত সুলভ আচরণই অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।

অরিত্রী অধিকারী নাবালক (শিশু) হওয়ায় মামলার চার্জশিটটি দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই ধারায় কোনো শিশুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ জরিমানার বিধান রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/জেডআর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :