ভিসির পদত্যাগ দাবি

ববি শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের মহাসড়ক অবরোধ, যাত্রীদুর্ভোগ

ব্যুরো প্রধান, বরিশাল
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৫২

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হওয়া অবরোধ কর্মসূচি কাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় রয়েছে। সেখানে তাদের দাবি নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই ধারণা পেয়ে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে অবরোধ স্থগিত করা হয়।

এর আগে আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষোভ, টায়ারে আগুন জ্বেলে ও সড়কের ওপর ইট ফেলে যানবহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। উপাচার্যের পদত্যাগ ও ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

ভিসিবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, আমতলি, ভোলা, নলছিটিসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বরিশাল-পটুয়াখালী ও ভোলা প্রান্তের মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়। সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সমঝোতা বৈঠকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে ভিসি স্বেচ্ছায় ছুটিতে যাবেন। এরপর চার দিন পার হয়েছে। তার পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত পাননি তারা।

এর আগে গত সোম ও গতকাল মঙ্গলবার ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। একজন আন্দোলনকারী বলেন, ‘পরে আমরা জানতে পারি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম ওই সভার মাধ্যমে ভিসির পদত্যাগ কিংবা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু তা হয়নি।’

তাই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা চলমান আন্দোলনের ১৬তম দিনে আজ সকাল ১০টা থেকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে ১১টায় কর্ণকাঠিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অনিদিষ্টকালের জন্য অবরোধ করেন।

জনদুর্ভোগ লাঘবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সড়ক অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু পুলিশের সেই আহ্বানে সাড়া দেননি শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিষয়টি আমাদের কারো হাতে নেই। এ আন্দোলনের ইন্ধনদাতা যারা তারা এবং পুলিশই পারে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে।’

তার ছুটিতে যাওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে ভিসি বলেন, ‘কারোর আন্দোলন কিংবা চাপের মুখে আমি ছুটিতে যেতে বাধ্য নই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব। কেননা তিনিই আমাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি। তাই ছুটিতে যাওয়ার কথা চিন্তাও করছি না।’

শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিবাদে আন্দোলন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ জন্য ভিসি এস এম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেন। এর প্রতিবাদে ২৬ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :