দুই বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৫৮

চাঁদপুর শহরের পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে ছাদে ফাটল ধরা একটি টিনশেড ও অন্য একটি পাকা ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৫০ জন এবং ২৬ জন শিক্ষক কর্মরত।

বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক, পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকদের তথ্যমতে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ফরিদগঞ্জের টুবগিতে শহীদ হন জাবেদ। তার নামেই ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রথমে টিনশেড ভবনটিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও পরে ছোট ছাদ ঢালাই ভবনটি নির্মিত হয়।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাবেয়া আক্তার বলেছে, `পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় আমাদের একসঙ্গে গাদাগাদি করে বসতে হয়। ফলে পাঠ নিতে সমস্যা হয়। এর ওপরে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা টিনের ঘরে ক্লাস করতে হচ্ছে। সব সময়ই জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে পড়ার আতঙ্কে থাকি।`

সহকারী শিক্ষক দীপক চন্দ্র দাস বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠ নিতে মনোযোগ সৃষ্টিতে ভালো পরিবেশের ভূমিকা বেশি। কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ে সে সুযোগ নেই। টিনের ঘর আর ছাদফাটা ভবনে পাঠদানের সময় ভয় তৈরি হয়। আমরা চাই একটি সুন্দর ঝুঁকিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।`

প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুক বলেন, `বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ভবন তৈরিতে কোনো ধরনের সহায়তা পাইনি। ভবনের জন্য ২০০৭ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করলেও গত একযুগে পাইনি। ভবনের অভাবে পুরনো শিক্ষার্থীদের জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। চেয়ার-টেবিলের সমস্যায়ও পাঠদানে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।`

`এ প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার মান ভালো হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত নতুন ভবন পাইনি। তাই আমাদের দ্রুত একটি ভবন প্রয়োজন।`

শিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়েশা রহমান বলেন, `বিদ্যালয়টি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখানে একটি চারতলা ভবন হলে শিক্ষার্থীরা খুব ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারবে। দ্রুত ভবনটি করে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।`

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম সাইফুল হক বলেন, `বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবনের বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন। তবে সেই ভবন তৈরি কার্যক্রমের বিষয়ে আমার তেমন জানা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ভবন নির্মাণের কাজে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন করবো।`

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/প্রতিবেদক/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :