প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান

ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০১৯, ২১:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া জানিয়েছেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে (ভ্যাট) নিবন্ধন ছাড়া কেউ কোনো ব্যবসা করতে পারবেন না।

আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আগামী বাজেটে রাজস্ব পরিকল্পনা সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী বাজেটে আয়কর সুষম করার চেষ্টা করব। শিল্পায়নকে গুরুত্ব দিয়ে আমদানি শুল্ক ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। তবে কিছু কিছু খাতে দীর্ঘদিন প্রণোদনা দিলেও তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। প্রণোদনা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে না। এ জন্য দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় দেওয়া প্রণোদনার মেয়াদ ও সুবিধা সুনির্দিষ্ট করা হবে।’

বন্ডের অপব্যবহার কঠোর হাতে দমন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাগজ বন্দর থেকে সরাসরি খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।’

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) নিবন্ধন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের জন্য খাতভিত্তিক ভ্যাট হার নির্ধারণ করা হবে। যারা রেয়াত পাবেন তাদের হার ১৫ শতাংশ হবে। অন্যদের জন্য আদায়যোগ্য সহনীয় মাত্রায় ভ্যাটের হার নির্ধারণ করা হবে।

বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ পেপারস মিল অ্যাসোসিয়েশন, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, হাইজিন পণ্য প্রস্তুতকারক সমিতি, বায়রা, কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

তারা বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন আলোচনায়। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিমের বাজেট প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, একেবারে ক্ষুদ্র পর্যায়ের রেস্তোরাঁ বাদে সব ধরনের রেস্তোরাঁয় ভ্যাট বাধ্যতামূলক হবে। তবে আন্তর্জাতিক মানের যেসব রেস্তোরাঁ রয়েছে, সেগুলোর ভ্যাট ১৫ শতাংশই থাকবে। এ ছাড়া দেশীয় মাঝারি আকারের রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হবে। রেস্তোরাঁর শ্রেণিকরণের জন্য এনবিআর একটি কমিটি গঠন করবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ পেপারস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘দেশীয় ১০৫টি পেপার মিল থেকে উৎপাদিত কাগজ দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তবে কাঁচামাল আমদানিতে আমরা কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। অন্যদিকে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাগজ খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসের কারণে তাদের সঙ্গে দেশে উৎপাদিত কাগজ প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।’ তাই দেশীয় কাগজের ভ্যাট হার কমানো ও ট্যারিভ ভ্যালু উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/আরএ/মোআ)