ঋণ পরিশোধকারীদের সুদ ৭ শতাংশ করার দাবি বিটিএমের

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৪৮ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

টেক্সটাইল খাতকে টিকিয়ে রাখতে গ্যাস বিদ্যুতের দাম না বাড়ানো এবং টেক্সটাইলের সব পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন বাস্তবায়ন না করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। একই সঙ্গে নিয়মিত ঋণ পরিশোধকারীদের সুদহার সাত শতাংশ করাসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বস্ত্র খাতের সংগঠনটি।

আজ বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।

বিটিএমএর সভাপতি, ‘দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে অধিকাংশ কাপড় ও সুতার মিল লোকসানে রয়েছে। এই অবস্থায় আবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম যথাক্রমে ৯৬ ও ২০৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী বাজেটে টেক্সটাইলের সব পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন চালু হবে বলে ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। এটা হলে এই খাত টিকে থাকতে পারবে না। এই খাতকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমরা আপাতত এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএর পক্ষ থেকে সরকারের উদ্দেশে বেশ কটি দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সুতা ও কাপড়কে ভ্যাট অব্যাহতি পণ্যের তালিকাভুক্ত করা, ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ আরও ১২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো; ব্যাংক ঋণে সুদের হার ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা; বিদেশি সুতা, কাপড় ও বস্ত্রসামগ্রী বিক্রি বন্ধে নারায়ণগঞ্জ, আড়াইহাজার, মাধবদী, বাবুরহাট, নরসিংদী, টানবাজার, সিরাজগঞ্জ, পাবনায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা এবং সীমান্ত হাটগুলোতে বিদেশি শাড়ি, লুঙ্গি, কামিজ, থ্রি-পিস বিভিন্ন কাপড় বিক্রি বন্ধ করতে নজরদারি জোরদার করা।
বিটিএমএর সভাপতি বলেন, ‘সরকার প্রকৃত ঋণখেলাপিদের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টসহ ঋণ পুনঃ তফসিলিকরণ এবং ৭ শতাংশ সুদে ১২ বছরে খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি কার্যকরভাবে বিবেচনা করছে। আমরা মনে করি, যারা ঋণখেলাপি নন, নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন, নিয়মিত ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধে তাদের উৎসাহিত করতে ৭ শতাংশ সুদে ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া উচিত। কেবল খেলাপিদের এই সুবিধা দেওয়া হলে নিয়মিত ঋণগ্রহিতারা নিরুৎসাহিত হবেন।’

বর্তমানে ব্যাংক ঋণে সুদের হার ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। এর প্রভাবে প্রাইমারি টেক্সটাইল খাতের সুতা ও কাপড় উৎপাদনে খরচ অনেক বেড়ে গেছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী খোকন।

তিনি বলেন, ‘ফলে স্থানীয় সুতা ও কাপড়ের মিলগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। বাজার দখল করছে শুল্কমুক্ত আমদানি করা সুতা ও কাপড়। মিলগুলো নিয়মিত ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে অনেক মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্যাংক ঋণের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামসুল আলম সজল, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম সোলায়মান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ডায়িং-প্রিন্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বদরুল হুদা প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/আরএ/মোআ)