নাটোরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৫৯

নাটোরের সিংড়ার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের এক গণিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, ভোগান্তি, হুমকি প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুলের ১৩জন শিক্ষার্থী এবং ১১জন অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুর রহমানকে অপসারণের পাশাপাশি কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন তারা।

অভিযোগ সূত্র জানা যায়, সিংড়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক ফজলুর রহমান তার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে ব্যবহারিক খাতায় নম্বর না দেওয়াসহ শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া পাইভেট পড়ানো অবস্থায় একাধিক শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়াসহ যৌন হয়রানি করেন তিনি।

অভিযোগে বলা হয়, রাতে ছাত্রীদের ফোন করে কুপ্রস্তাব দেন গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমান। তার প্রস্তাবে রাজি হলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বেশি নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিন পৃষ্ঠার এই অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে মোট ১২টি অভিযোগ উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া অভিযোগে বলা হয়, গত ৬ এপ্রিল গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন তার কাছে প্রাইভেট পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ফাঁস করে দেন এবং পরীক্ষা চলাকালে দুর্ব্যবহার করেন। এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা গত ৮ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দিতে যায়। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি টের পেয়ে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার দিন তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভিডিও করেন এবং বোরকার মুখ খুলতে বাধ্য করেন।

সুমাইয়া নাহার, আয়েশা সিদ্দিকাসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থী জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের হুমকির কারণে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এছাড়া এই শিক্ষকের ধারণ করা ভিডিও বখাটেদের দিয়ে ছাত্রীদের সম্মানহানি করারও আশঙ্কা করছেন তারা। অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত অপসারণ করা এবং শ্বাস্তিমুলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ফেনির নিহত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের মত পরিণতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। এবিষয়ে অভিযুক্ত গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমান তার বিরুদ্ধে

এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, তিনি আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার। শিক্ষার্থীরা তার মেয়ের মত, যৌন হয়রানির কোনো প্রশ্নই আসে না। স্কুলের একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন। আর তিনি অভিভাবকদের অনুরোধে মাত্র ২০ থেকে ২৫জন শিক্ষার্থীকে পাইভেট পড়ান।

এ বিষয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, তিনি অফিসিয়াল কাজে দু’দিন থেকে ঢাকায় রয়েছেন। ঢাকা থেকে ফিরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, তার দপ্তরে ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :