মালয়েশিয়ায় সড়কে নিহত আল আমিন চাঁদপুরে শায়িত
মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আল আমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাগল গ্রামে আল আমিনের জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আল আমিনের জানাজায় অংশ নিতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ছাড়াও আশপাশের গ্রামের মানুষজনও ছুটে আসেন।
নিহত আল আমিনের বাবা আমির হোসেন বলেন, ‘আমি কষ্ট করে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আজ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল। যেই টাকা ঋণ করে পাঠিয়েছি তা শোধ করার অবস্থা আমার নেই। আমি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের কাছে সহায়তার দাবি জানাই। পাশাপাশি ছেলের মরদেহ আমাদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করায় আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
অপরদিকে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের সোহেলের জানাজা বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাধিত করা হবে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে সোহেল ও আল আমিনের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। পরে তাদের পরিবারের লোকজন অ্যাম্বুল্যান্সে করে মরদেহগুলো বাড়ি নিয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের কাছে একটি সড়কে বাংলাদেশিসহ আরও কয়েকটি দেশের শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনার শিকার হন। এ দুর্ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশিসহ ১১ জন নিহত হন। পাঁচ বাংলাদেশির মধ্যে দুইজনের বাড়িই চাঁদপুরে। এর মধ্যে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহেল ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাগল গ্রামের মাওলানা আমির হোসেনের ছেলে আল আমিন।
(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এলএ)