এ আমার দ্বিতীয় বাড়ি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসাবিদ্যায় পড়তে এসে বেশ কয়েকটা বছর কেটেছে বাংলাদেশে। তাই এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত তিনি। পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণও পরিচিত উৎসব তার। তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। তবে এবারের পহেলা বৈশাখ যেন তার জন্য অন্য এক আনন্দের উপলক্ষ্য। আবেগ-উদ্বেলিত লোটের ভাষায়, ‘এ যেন আমার দ্বিতীয় বাড়িতে ফেরা।’
চিকিৎসা পেশা থেকে রাজনীতিতে গিয়ে গেল বছরের নভেম্বরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এলেন লোটে শেরিং। রবিবার ১৪২৬ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুরের ধারার ‘হাজারও কণ্ঠে বর্ষবরণ’ আয়োজনে যোগ দেন।
উপস্থিত সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে বাংলায় দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে সবাইকে মন থেকে শুভ নববর্ষ জানাচ্ছি। আপনারা সবাই পান্তা ভাত খেয়েছেন?’
সকাল ৬টায় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি ছিলেন প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনও উপস্থিত ছিলেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে উপহার হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সংকলন গীতবিতান তুলে দেন সুরের ধারার প্রতিষ্ঠাতা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাতে জানালেন, বহুদিন পর নিজের পুরনো শিক্ষায়তন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে যাবেন। বক্তৃতা দেওয়ার সময় লোটে শেরিং ছিলেন খানিকটা উদ্বেলিত।
চিকিৎসাবিদ্যায় পড়তে এসে লোটে শেরিংয়ের সাতবছর কেটেছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। পরে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও চার বছর কেটেছে সার্জারিতে স্নাতকোত্তর করতে গিয়ে।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে নিজ দেশে ফিরে গিয়ে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। গেল বছরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
চারদিনের সফরে গত শুক্রবার বাংলাদেশ সফরে আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। তার সফরকালে শনিবার বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারকও হয়েছে। আগামীকাল তিনি দেশে ফিরে যাবেন।
ঢাকাটাইমস/১৪এপ্রিল/ডিএম