নুসরাত হত্যা

ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

প্রকাশ | ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:২৫ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
মোয়াজ্জেম হোসেন

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

অসৎ উদ্দেশ্যে নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়া ও আপত্তিকর প্রশ্ন করার অভিযোগ এনে সোমবার দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন। আবেদনে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬ ধারাসহ অন্যান্য ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।

দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এই অভিযোগ করা হয়। দুপুর দুটায় এ বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে।

গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুললে দুজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এ সময় আইনবহির্ভূতভাবে নুসরাতের জেরা করতে করতেই ওসি নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দুই পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না।

ওই ভিডিওটি প্রকাশ হলে অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে ওসির সখ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ওসি যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘নাটক’ ও পরবর্তীতে অগ্নিদগ্ধের ঘটনাকে ‘আত্মহত্যার’ রূপ দিতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। এরপর ১০ এপ্রিল বুধবার সোনাগাজী মডেল থানা থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে নুসরাত হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মামলার অন্যতম দুই আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম।

রবিবার ফেনী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বেলা তিনটা থেকে টানা ১০ ঘণ্টার জবানবন্দিতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করেন তারা। এতে উঠে এসেছে জড়িত আরও বেশ কয়েকজনের নাম। অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার নির্দেশে তারা কীভাবে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কীভাবে কী করে তা বিস্তারিত বলেছে।’

গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাদে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বোরখা পরিহিত কয়েকজন। পরে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/আরজে/এমআর