নুসরাত হত্যা

ওসি মোয়াজ্জেমের মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশ | ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:০৯ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:০৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ওসি মোয়াজ্জেম

মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। নুসরাত জাহান রাফি থানায় অভিযোগ দিতে আসার পর তাকে আপত্তিকর প্রশ্ন করা এবং ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে এই মামলা হয়।

সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসলাম জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ এপ্রিল ডিআইজি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

দুপুরে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ওসি মোয়াজ্জেম বর্তমানে ফেনী জেলা পুলিশের অস্ত্র শাখায় কর্মরত। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার পর এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠলে তাকে সোনাগাজী থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুললে দুজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এ সময় আইনবহির্ভূতভাবে নুসরাতের জেরা করতে করতেই ওসি নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দুই পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না।

ওই ভিডিওটি প্রকাশ হলে অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে ওসির সখ্যের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ওসি যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘নাটক’ ও পরবর্তী সময়ে অগ্নিদগ্ধের ঘটনাকে ‘আত্মহত্যার’ রূপ দিতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। এরপর ১০ এপ্রিল বুধবার সোনাগাজী মডেল থানা থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/জেবি)