পর্তুগালে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
প্রকাশ | ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৫৫
‘লিসবনের এই শহরে কথা হবে প্রাণ খুলে, জানিয়ে দিলাম আমি তোমাকে! দেখা হবে রে হবে দেখা হবে রে হবে, দেখা হবেই হবে দূতাবাসের পহেলা বৈশাখে...।’
বছর ঘুরে আবার এলো উৎসবপ্রিয় বাঙালির আনন্দঘন দিন পহেলা বৈশাখ। গুটি গুটি পায়ে বাংলা বছর এসে থামল ১৪২৬ এর দুয়ারে। প্রতিবছর সব শ্রেণির সব বাঙালি এ দিনটিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করে ঠিক তার ব্যাতিক্রম নয় পর্তুগাল প্রবাসী বাঙালিরাও।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ১ বৈশাখ রবিবার পালিত হলো বৈশাখী বরণ উৎসব। রবিবার ছুটির দিন থাকায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর পদচারণায় স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় মুখরিত হয়ে ওঠে দূতাবাস প্রাঙ্গণ।
আর বৈশাখী সাজ রঙিন পাঞ্জাবি, বৈশাখী শাড়ি পরে যোগ দেয় নানান বয়সের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এ সময় দূতাবাসে আগত প্রবাসীদের স্বাগত জানান দূতাবাসের প্রথম সচিব হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ ও দূতাবাস কর্মকর্তাবৃন্দ। বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্টদূত রুহুল আলম সিদ্দিকীর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বৈশাখী বরণ উৎসব অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
প্রথম পর্বের শুরুতে প্রবাসে বেড়ে উঠা শিশুদের নৃত্য, ছড়া গান, মহিলাদের জন্য ছিল বালিশ খেলা, পুরুষদের হাঁড়ি ভাঙা আর প্রবাসী রেয়ার ব্র্যান্ড শিল্পীদের যন্ত্র সংগীত। সুরের আবহে মাতিয়ে তোলে পুরো দূতাবাস প্রাঙ্গণ।
সবশেষ ছিল র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী। এছাড়াও বৈশাখী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠানে আগত প্রবাসীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী দেশীয় ২০ প্রকারের ভর্তা, পান্তা ভাত, ইলিশ ভাজাসহ হরেক রকমের দেশীয় খাবারের পাশাপাশি নানা ধরনের মিষ্টান্ন ও দেশীয় পিঠা।
(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/এলএ)