কানাডায় কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাকে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৫৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

কানাডার কুইবেক অঞ্চলের সরকারি কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাক পরতে পারবেন না। সেখানে সম্প্রতি এমন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে৷ ফলে, কানাডার কুইবেক অঞ্চলের আইনজীবী, শিক্ষক, নার্স, ডাক্তার থেকে বাস চালক বা সরকারি আমলারা কাজের সময় হিজাব বা পাগড়ির মতো কোনো ধর্মীয় পোশাক পরতে পারবেন না৷

সম্প্রতি চালু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে বিতর্ক, আলোচনায় উঠে আসছে ধর্মচর্চার স্বাধীনতা বিষয়ে নানা দিক৷ কুইবেক অঞ্চলে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি রয়েছে শিখ, ইহুদীদের বসবাস। যারা দৈনন্দিন জীবনে পরেন বিশেষ কিছু ‘ধর্মীয় পোশাক’৷

টার্গেট মুসলমানেরা?

টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নেলসন ওয়াইসম্যান বলেন, ‘কুইবেকে সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ৷ ফলে, এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তাদের ওপরেই পড়বে বেশি৷’

বর্তমানে কুইবেকের মোট জনসংখ্যা ৮৩ লক্ষ, যার মধ্যে তিন শতাংশ মানুষ  ইসলাম ধর্মাবলম্বী৷ এমন নিষেধাজ্ঞা চালু হলেও এর বিরোধিতা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো৷ তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারি না আজকের দিনে এমন একটা বিদ্বেষী নিয়ম চালু হয়েছে৷’

ইতিমধ্যে এই নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় পথে নেমেছেন কুইবেকের বেশ কয়েকটি স্থানীয় খ্রিষ্টান, মুসলমান ও ইহুদীদের সংগঠন৷ তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা।

তবে কুইবেকের প্রধান ফ্রাসোঁয়া লেগল্ট এই নতুন নিয়মকে দেখছেন সাম্যের নজরে৷ তিনি বলেন, ‘আমার মতে এখন কুইবেকে যারা সরকারি পদে নিযুক্ত, তাদের কোনো ধর্মীয় চিহ্ন বহন করা উচিত নয়৷ এটাই ন্যায্য ও যুক্তিসম্মত৷ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যেও এটা দরকার৷’

ঢাকা টাইমস/১৬এপ্রিল/একে