বিজিএমইএর ভবন থেকে সরঞ্জাম সরাতে দুই ঘণ্টা সময়

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৩৮ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর হাতিরঝিল লেকের পাড়ে অবৈধভাবে নির্মাণ করা বিজিএমইএ ভবন থেকে সরঞ্জাম সরাতে দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ১৬ তলা ভবনটি ভাঙতে আইন-শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর বিপুল সদস্য নিয়ে ভবনটির সামনে অবস্থান নেয় রাজউক কর্মকর্তারা। পরে ভবনে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে রাজউকের পক্ষ থেকে দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়।

রাজউকের পরিচালক প্রশাসন খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, ভবনের বিভিন্ন তলায় ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। ব্যাংকের ভল্টে টাকাসহ অফিসের অন্য মালামাল তারা (বিভিন্ন অফিস সংশ্লিষ্টরা) সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে। মালামাল সরাতে তারা আমাদের কাছ থেকে সময় চাইলে তাদের দুই ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। এরপর আমরা গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা বন্ধ করে দেবো। তারপর ভবন ভাঙার কাজে হাত দেবো।

তিনি আরও বলেন, বহুতল ভবনটি ভাঙার কাজে সার্বিকভাবে আমাদের প্রস্তুতি আছে। এজন্য বুলডুজারসহ অন্যান্য গাড়ি প্রস্তুত রয়েছে। ভবনটি আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাঙা হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। ভাঙার আগে কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।

ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জলাধার আইন ভঙ্গ করে হাতিরঝিলে ১৯৯৮ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে বিজিএমইএ। নির্মাণ শেষে ২০০৬ সালে ১৬ তলা ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ভবনটি অবৈধ উল্লেখ করে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল এটি ভেঙে ফেলার রায় দেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থায় ফিরিয়ে দিতেও বলা হয় রায়ে। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বিজিএমইএ। এরপর আপিল বিভাগেও হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।

পরবর্তী সময়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা হলে সেটিও খারিজ করে দেন আদালত। পাশাপাশি ভবন ভাঙতে কতদিন সময় লাগবে তা জানিয়ে আবেদন করারও নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে। এরপর ২০১৭ সালের ১২ মার্চ এ আবেদন নিষ্পত্তি করে ভবন সরাতে ছয় মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। এরপর একই বছরের ৮ অক্টোবর ভবনটি ভাঙতে আবারো সাত মাস সময় দেন আপিল বিভাগ।

বিজিএমইএ ভবন অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত ১২ এপ্রিল। সময়সীমা পার হওয়ার পরই সরকার ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করে।

ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/কারই/এমআর