বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময় লাগবে এক সপ্তাহ

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০০ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর হাতিরঝিলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।

ভবনটির উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

জেসমিন আক্তার বলেন, ‘ভবনটি ভাঙতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিনামাইট রেবুলেশন ব্যবহার করে আমরা ভাঙার কাজ করব। সেই অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি চলছে।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আজ থেকে ভাঙার কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে আমরা তাদেরকে মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় দিয়েছি। তারা এখনো মালামাল সরাচ্ছে। মালামাল সরানো শেষ হলেই আমরা ভাঙার কাজ শুরু করব।’

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো’উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়।

রায়ে বলা হয়, ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

পরে ভবন ছাড়তে উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। প্রথমে ছয় মাস এবং পরে সাত মাস সময়ও পায় তারা। সর্বশেষ গত বছর নতুন করে এক বছর সময় পায় সংগঠনটি। সে সময় তারা মুচলেকা দেয়, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না।

সর্বশেষ গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর দশ দিন সময় দেন। গত ১২ এপ্রিল আদালতের সময়মসীমা শেষ হয়। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নামে রাজউক।

ভবনের কার্যক্রম সরিয়ে নিতে উত্তরা তৃতীয় পর্বে ১১০ কাঠা জমির ওপর বিজিএমইএ নতুন ভবন নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে ১৩ তলা ভবনের ৬ তলার কাজ শেষ হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্মাণাধীন ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/কারই/এমআর)