নীতিমালা ভেঙে গোপনে প্রধান শিক্ষকসহ তিন পদে নিয়োগ

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:০২

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পটিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে নীতিমালা ভঙ্গ করে গোপনে প্রধান শিক্ষকসহ তিনটি পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে স্কুলের একজন অভিভাবক সদস্য রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে এবং একজন শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপ-পরিচালক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। তারা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রধান শিক্ষক একেএম জাকারিয়ার নিয়োগ বাতিলসহ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও একজন সদস্যের অপসারণ চেয়েছেন।

পাটিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য সেলিম রেজার সম্প্রতি দাখিল করা অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, স্কুলটির প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এটিএম তাহির অভিভাবক সদস্য আনোয়ার হোসেনকে নিয়ে গত বছরের শেষের দিকে গোপনে প্রধান শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক ও নৈশপ্রহরী পদে তিনজনকে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগের কথা এটিএম তাহির ও আনোয়ার হোসেন ছাড়া ম্যানেজিং কমিটির অন্য কেউ জানতেন না।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত একেএম জাকারিয়া আগে থেকেই স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। নিয়ম অনুসারে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন করলে তাকে অন্য আরেকজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিতে হবে। কিন্তু তিনি নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্কুলের জুনিয়র সহকারী শিক্ষক আনিস মো. শাহিদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করেন। ১৯৭৬ সালে জন্ম নেওয়া আনিস ১৯৯৮ সালে স্কুলটিতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। নীতিমালা মানলে এখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করার কথা ১৯৯৫ সালে চাকরিতে যোগ দেয়া সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে। তার জন্মের সাল ১৯৬৭।

এভাবে নীতিমালা লঙ্ঘন করায় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি জানান, শিক্ষক আনিস প্রধান শিক্ষক জাকারিয়ার ভগ্নিপতি। তাই জাকারিয়া তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করেন। আর আনিসের মামাশ্বশুর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাহির। তারা পরস্পরের যোগসাজশে নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। আর ওই তিনজনের নিয়োগে নীতিমালা লঙ্ঘনের পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম হয়েছে অভিযোগ করে নিয়োগ বাতিল এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাহির ও সদস্য আনোয়ার হোসেনের অপসারণ চেয়েছেন অভিভাবক সদস্য সেলিম রেজা।

এ বিষয়ে কথা বলতে সভাপতি এটিএম তাহিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রধান শিক্ষক একেএম জাকারিয়া বলেন, `নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিধিভঙ্গ করা হয়নি। নিয়োগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত রয়েছে। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে বেতনও পাচ্ছেন।‘

মাউশির রাজশাহীর উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, `আমি যোগ দেওয়ার কিছুদিন আগে অভিযোগটি দাখিল হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্তের জন্য কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ অভিযোগেরও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/ব্যুরো/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :