‘বনলতা এক্সপ্রেস’ যাত্রা শুরু করবে ২৫ এপ্রিল

রিমন রহমান, রাজশাহী
| আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৫৪ | প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৩৬

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালু হতে যাওয়া একমাত্র বিরতিহীন ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ যাত্রা শুরু করবে আগামী ২৫ এপ্রিল। গত ৭ এপ্রিল সৈয়দপুর-পার্বতীপুর হয়ে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা করেছে ট্রেনটি। ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজেই ট্রেনটির নাম রেখেছেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনিই ট্রেনটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এরপর ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢাকা যাবে।

এর আগে গত পয়লা বৈশাখে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ চালুর কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু যাত্রা শুরুর। ট্রেনটি চালুর মধ্য দিয়ে রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হচ্ছে। রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনি ইশতেহারে বিরতিহীন এই ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি ছিল।

এই প্রথম দেশের আন্তঃনগর কোনো ট্রেনে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট সংযুক্ত থাকবে এই ট্রেনে। এ কারণে মলমূত্র রেললাইনে পড়বে না। প্রথমবারের মতো ট্রেনটিতে রিক্লেনার চেয়ার বসানো থাকবে। যেখানে পা এবং হেলান দেওয়ার আরামদায়ক সুবিধা থাকে। আর এসি বার্থের কেবিনে বেডরেস্ট দেওয়া হবে। ফলে রাতে বিছিয়ে দিলে ছোট খাটের মতো হয়ে যাবে। আর কেবিনে ওপরের সিটের ওঠার জন্য আগের স্টিলের মই বাদ দিয়ে এবার যাত্রীদের জন্য দেয়া হয়েছে সিঁড়ি।

ট্রেনের বগিগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। সংযুক্ত রয়েছে ১২টি বগি। ঘণ্টায় ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি হবে ১৪০ কিলোমিটার। ঢাকা-রাজশাহীর ৩৪৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ট্রেনটি সময় নেবে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। এতে যাত্রীদের সময় বাঁচবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। অবশ্য এই আরামদায়ক যাত্রায় যাত্রীদের গুণতে হবে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ভাড়া।

অত্যাধুনিক ১২টি বগি সংযুক্ত হচ্ছে এ ট্রেনে। এর মধ্যে শোভন চেয়ার সাতটি, এসি চেয়ার কোচ দুটি, একটি পাওয়ার কার, দুটি গার্ডব্রেক ও একটি খাওয়ার বগি। এদিকে বনলতা এক্সপ্রেসে আসন সংখ্যা থাকছে ৯২৮টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের ভাড়া হবে ৩৭৫ টাকা। আর স্নিগ্ধার (এসি চেয়ার) ভাড়া যাত্রীপ্রতি ৭১৯ টাকা। এছাড়া ৮৬৩ টাকায় পাওয়া যাবে এসি কেবিন, এক হাজার ২৮৮ টাকায় মিলবে এসি বার্থ।

ট্রেনটিতে মোট আসন সংখ্যা হবে ৯৩২টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের ভাড়া হতে পারে ৩৭৫ টাকা। আর স্নিগ্ধার (এসি চেয়ার) ভাড়া হতে পারে ৭১৯ টাকা। এছাড়া ৮৬৩ টাকায় পাওয়া যেতে পারে এসি কেবিন। আর এক হাজার ২৮৮ টাকায় মিলতে পারে এসি বার্থ। ট্রেনের ১২ বগির মধ্যে শোভন চেয়ার সাতটি, এসি চেয়ার কোচ দুটি, একটি পাওয়ার কার, দুটি গার্ডব্রেক ও একটি খাওয়ার বগি।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/আরআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :