নারী নেত্রীরা এখন কোথায়, প্রশ্ন দুদুর

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গত তিন মাসে দুই হাজারের বেশি নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। আলোচিত নুসরাত হত্যাসহ এসব নির্যাতনের প্রতিবাদে নারী নেত্রীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন দিনাজপুরে ইয়াসমিন নামে একজন নারী নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা লাফ দিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তখন বেগম খালেদা জিয়া ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও শেখ হাসিনা লাফ দিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তখন খুশি কবীর, সুলতানা কামালরা ছিলেন কি না আমার জানা নেই। মুন্নী সাহার জন্ম হয়েছিল কি না আমার জানা নেই। এসব নেত্রী এখন কোথায় মুখ লুকালেন?’

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের প্রধান অতিথি থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

নুসরাত হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে দুদু বলেন, ‘এই মেয়েটির জন্য সারাদেশের মানুষ কেঁদেছে। কিন্তু নুসরাতকে কে হত্যা করেছে? আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এমনকি ওসিও এদের সঙ্গে জড়িত। ওসিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি করা হয়েছে। সরকার কিছু বলতে পারে না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলতে পারেন না। এরা সব সময় ভয়ে থাকে যে, পুলিশ আবার আবার কখন উল্টে দেয়। কারণ পুলিশকে দিয়ে তো ভোট ডাকাতি ও চুরি করে ক্ষমতায় আছেন।’

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনসাধারণের স্বার্থে অধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে। খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তি নেবেন কেন? তিনি কি অপরাধী? এটা আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের ওপর ছেড়ে দিই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’

দুদু বলেন, ‘আজ যারা বিচারালয়ে বিচারক আছেন, পুলিশ আছেন আমি তাদের সমালোচনা করবো না। শুধু এতটুকু বলবো একটু বিবেক দিয়ে ভাবেন কে অপরাধী?’

আয়োজক সংগঠনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/বিইউ/জেবি)