নুসরাত হত্যা: শাস্তির দাবিতে জবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৩৭

জবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় যৌননিপীড়কদের সামাজিকভাবে বয়কটের দাবি তুলেন শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “সাম্প্রতিককালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ন্যাক্বারজনক ঘটনা আমাদের সকলকে স্তব্ধ করে দেয়। আমাদের উল্লেখযোগ্য দাবি ছিল শিক্ষকতা পেশাকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা, কিন্তু তা না হয়ে এটা হয়ে গেছে লোভনীয় পেশা। একটা সময় মানবতার ব্রত নিয়ে কাজ করার অনুভূতি যাদের রয়েছে তারাই শুধু এই পেশায় আসতো। কিন্তু এখন লোভীরা এই পেশায় সম্পৃক্ত হতে বেশি আগ্রহী যার ফলে বর্তমান পরিস্থিতি। সমাজের সকল ক্ষেত্রে মনুষ্যত্ববিহীন কুলাঙ্গারদের বিনাশ হোক।”

তিনি আরো বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে যৌন নির্যাতন বিষয়ক যেকোন ঘটনায় সম্পৃক্ততার পাওয়া গেলে অতীতে যেরকম শাস্তি  হয়েছিল ভবিষ্যতেও প্রশাসন এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখাবে।”

মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা যৌননীপিড়কদের সামাজিকভাবে বয়কটের দাবি জানান। তারা বলেন, যারা যৌননিপীড়কের সাথে জড়িত থাকবে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তাদের সাথে কোন প্রকার আত্মীয়তা করা যাবে না এবং বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসমূহ তাদের কাছে বেচাকেনা বন্ধ করে দিতে হবে। আর সমাজের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে তাদের যৌননিপীড়ক হিসেবে তাদের ছবি টানিয়ে দিতে হবে। তারা যেন সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মাদ।

গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজদৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন নুসরাত। এরপর আলিম পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসায় গেলে গত ৬ এপ্রিল কেরোসিন ঢেলে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।
পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/আইএইচ/ইএস)