তুরাগে ৯৯ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তুরাগ নদের তীরে অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযানের ২৮তম দিনে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) এর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন৷ উচ্ছেদে জব্দ মালামাল নিলামে বিক্রি করে ২২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মঙ্গলবার সকালে অভিযানের তৃতীয় পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম দিনে সাভার এলাকার তুরাগ থানার ধউর মৌজায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে নদের চার একর জায়গা দখলমুক্ত হয়েছে বলে জানান বিআইডাব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক।

তিনি জানান, সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে ১১টি একতলা পাকা ভবন, তিনটি দোতলা, একটি চার তলা ভবন উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও ১৫টি আধা পাকা স্থাপনা, ২৭টি টিনের ছাউনি, ৩১টি টিনের ঘর, আটটি সীমানা প্রাচীর ও তিনটি বালুর গদি উচ্ছেদ করা হয়।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামুড়া ঘাট থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডাব্লিউটিএ। প্রতি পর্বে ১২ কার্যদিবস করে পরিচালিত অভিযানে দুই পর্বে উচ্ছেদ হয়েছে দুই হাজার ৮৪৬ স্থাপনা। এর মধ্য দিয়ে ২২ কিলোমিটার নদী তীরভূমির ৬১ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার মাধ্যমে আদায় হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উচ্ছেদের সময় ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার কয়লা, নির্মাণ সামগ্রী ও কাঠ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএ'র যুগ্ম পরিচালক।

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্কার করে দশ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নাব্য ফিরিয়ে আনতে নদীতে ড্রেজিংয়ের কথা জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ। নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকার ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়। যার মধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।

৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের অভিযান চলবে মোট ১২ কার্যদিবস। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান অভ্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ।

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/কারই/জেবি)