নৌ-যান শ্রমিক কর্মবিরতি

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৪৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকা টাইমস

১১ দফা দাবিতে নৌ-যান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম।

মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল।

দুই শতাধিক লাইটারেজ জাহাজও বন্ধ থাকায় গভীর সাগরে বন্দরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজ থেকে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নৌ-পথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেওয়া ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা, নদীতে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপনসহ ১১ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করছেন নৌ-যান শ্রমিকরা।

কর্মবিরতি দীর্ঘ হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অস্থিরতা দেখা  দেবে এমন মন্তব্য করেছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্য আমদানি বেড়ে যায়। রোজা শুরুর মাসখানেক আগে থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসতে থাকে এসব পণ্য। এরই মধ্যে রমজানের ভোগ্যপণ্যগুলো আসতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে। নৌ-যান শ্রমিকদের এই কর্মসূচি পণ্য আমদানিতে বেশ বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। ভোগ্যপণ্য খালাসে বিলম্ব হলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন আমদানিকারকরা।

তবে গভীর সাগরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত লাইটার জাহাজে কিছুটা কাজ চলছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক ( ট্রাফিক) এনামুল করিম দাবি করেন, বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজগুলোতে পণ্য ওঠা-নামা স্বাভাবিক রয়েছে।

লাইটার জাহাজ কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমদ বলেন, `চট্টগ্রামে দুই শতাধিক লাইটারেজ জাহাজ অলস বসে আছে। আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ।`

(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/ব্যুরো/এআর)