নকল ক্যাবল কারখানায় র্যাবের অভিযান
প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৪৮
পুরান ঢাকার বংশালের নবাবপুর এলাকায় নিম্নমানের ও নকল ক্যাবল কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১০। সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩২ লাখ টাকা জরিমানা, দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়াও সেখানকার ১১টি বৈদ্যুতিক ক্যাবল কারখানা ও গোডাউন সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সমন্বয়ে র্যাবের একটি আভিযানিক দল সোমবার বিকাল তিনটা থেকে মঙ্গলবার ভোর চারটার পর্যন্ত অভিযান চালায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তবে র্যাবের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানানো হয়।
র্যাবের অভিযানে নবাবপুরের তাজ মাকের্টের স্টার গোল্ড ফ্যানের মালিক আক্তার হোসেন ও শামীমকে এক লাখ টাকা, স্বর্ণা ইলেকট্রিকের মালিক এনামুল হক ও খান মার্কের্টের রাব্বি এন্টারপ্রাইজের মালিক খুরর্শিদ আলম, খান মার্কেটের টিআরবি ক্যাবলসের মালিক জামান আহম্মেদকে পাঁচ লাখ টাকা, রাব্বি এন্টারপ্রাইজ, খান মার্কেট, নবাবপুর পাঁচ লাখ টাকা, জামান আহম্মেদ, টিআরবি ক্যাবলস, জাকির মার্কেট, নবাবপুর পাঁচ লাখ টাকা, টাওয়ার মার্কেটের সিফাত ট্রেইডার্সের ওয়ারেস আহম্মেদ, জাকির ইলেকট্রিক মার্কেটের ফরহাদ হোসেন, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজের এনায়েত উল্যাহকে তিন লাখ টাকা, খান মার্কেটের এসএইচপি ক্যাবলর্সের রাসেল, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজের মাহমুদুল হাসান, জাকির মার্কেটের তানিয়া ক্যাবলর্সের মালিক আলআমিনকে দুই লাখ টাকা এবং ছয় মাসের জেল এবং খান মার্কেটের তারা ক্যাবলসের মঈন উদ্দিনকে এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার তাদের দুজনকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগ ছিল ক্যাবল তৈরির কারখানাগুলো দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের ও নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছে। এছাড়া কারখানাগুলো বিভিন্ন নামি-দামি ব্রান্ডের নাম ব্যাবহার করে এসব নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার বাজারজাত করছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এএ/জেবি)