দেশে ফিরেছেন ফেরদৌস
দেশে ফিরে এসেছেন ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারে যাওয়া বাংলাদেশের নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ভিসা বাতিল করে এবং দ্রুত দেশ ত্যাদের নির্দেশ দেয়। সেই মতো মঙ্গলবার রাত আটটার বিমানে করে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
ফেরদৌস ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের পক্ষে। তাতে আপত্তি জানায় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা অভিযোগ জানায়। এরপরই ফেরদৌসের ভিসা বাতিল করে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
বিজেপি সরকার চেয়েছিল নায়ক ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করা হোক। কিন্তু বাংলাদেশ হাইকমিশনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে। তার আগেই দেশে ফিরে এসেছেন ফেরদৌস।
কলকাতায় গিয়ে পয়লা বৈশাখের দিনে কানহাইয়ালালের সমর্থনে রোড শো এবং সভা করেন ফেরদৌস। তার জন্য ভোটও চান। এই প্রচার পর্বে তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতার দুই তারকা অঙ্কুশ হাজরা ও পায়েল মুখার্জী। সোমবারও করণদিঘী থেকে বেঙ্গল টু বেঙ্গল রোড ধরে ইসলামপুর পর্যন্ত দাঁপিয়ে বেড়ান এই তিন তারকা।
তারপরই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানায় বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার কোটাতে ফেরদৌস তাদের দেশে ভোটের প্রচারে নেমেছেন বলে মন্তব্য করে গেরুয়া শিবির। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। যদিও নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধিতে এমন কিছু আছে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া যে প্রার্থীর পক্ষে ফেরদৌস ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন, সেই কানাইয়ালাল আগরওয়াল নাকি জানেনই না যে বাংলাদেশ থেকে একজন নামকরা অভিনেতা এসে তার সমর্থনে এখানে ওখানে ছুটে বেড়াচ্ছেন, ভোট চাচ্ছেন। গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
অথচ রবিবার তার নির্বাচনী এজেন্ট মোশারফ হোসেন বলেছিলেন, ‘কোনো তারকা প্রচারে আসবেন কী আসবেন না সেটা ঠিক হয় রাজ্য থেকে। ফেরদৌস বাংলাদেশের নায়ক হলেও কলকাতায়ও তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। ভোটের প্রচারে একটা ভিন্ন স্বাদ দেয়ার জন্যই তাকে ডেকে আনা হয়েছে।’
কানাইয়ালাল আগরওয়ালের আসন রায়গঞ্জে ভোট হবে বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার বিকালে সেখানে শেষ হয়েছে প্রকাশ্য প্রচার।
ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এএইচ