৭০ স্থাপনা উচ্ছেদ, জব্দ মালামাল কোটি টাকায় নিলাম

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:০২ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তুরাগ নদের তীরে অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযানের ২৯তম দিনে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। উচ্ছেদে জব্দ মালামাল নিলামে বিক্রি করে এক কোটির বেশি টাকা আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন৷

বুধবার সকালে অভিযানের তৃতীয় পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনে তুরাগ থানার ভাটুলিয়া মৌজা ও পরান মন্ডল টেক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে নদের সাড়ে চার একর জায়গা দখলমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক।

তিনি জানান, সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে ছয়টি একতলা পাকা ভবন, তিনটি দোতলা ভবন উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও নয়টি আধা পাকা স্থাপনা, ১৩টি টিনের ছাউনি, ২৯টি টিনের ঘর, ১০টি সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ করা হয়।

নদের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বালু, পাথরের গদি ও ভরাট ছয়টি অংশ জব্দ করে মালামাল নিলামে বিক্রি করে বিআইডাব্লিউটিএ। জব্দ মালামাল এক কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান বিআইডাব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামুড়া ঘাট থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডাব্লিউটিএ। প্রতি পর্বে ১২ কার্যদিবস করে পরিচালিত অভিযানে দুই পর্বে উচ্ছেদ হয়েছে দুই হাজার ৮৪৬ স্থাপনা। এরমধ্য দিয়ে ২২ কিলোমিটার নদী তীরভূমির ৬১ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া জরিমানার মাধ্যমে আদায় হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উচ্ছেদের সময় ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার কয়লা, নির্মাণ সামগ্রী ও কাঠ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান বিআইডাব্লিউটিএ'র যুগ্ম পরিচালক।

বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্কার করে দশ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নাব্য ফিরিয়ে দিতে নদীতে ড্রেজিং করার কথা জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ। নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকার ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটি জানায়। যারমধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।

৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের অভিযান চলবে মোট ১২ কার্যদিবস। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ।

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/কারই/জেবি)