রোগীদের আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেয়ার তাগিদ মন্ত্রীর

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ২১:১৮ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ২১:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চিকিৎসক সমাজের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করতে রোগীদেরকে আন্তরিকতার সাথে সেবা দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চিকিৎসা পেশায় দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই সংশ্লিষ্ট সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বুধবার জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের “চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা” বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মেডিকেল কলেজসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের আটটি বিভাগে একটি করে কিডনি এবং একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শয্যা সংখ্যা পাঁচ হাজারে উন্নীত করা হবে।

এ সময় চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে জাহিদ মালেক বলেন, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে যাতে রোগীরা এসে সেবা পান সেদিকে আরো নজর দিতে হবে। কর্মস্থলে যাতে সকল চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সেবা খাতকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে নিতে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নত নেতৃত্বও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।   

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য মাহমুদ হাসান।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ) জি. এম. সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি এম ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপের মহাসচিব, ইহতেশামুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ। 

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য মাহমুদ হাসান এক প্রবন্ধে চিকিৎসাসেবা পেশার শুরু থেকে বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় নৈতিকতার বিষয় এবং চ্যালেঞ্জসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় অতিথিরা বলেন, “চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা” বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতা সমাজের সর্বস্তরেই অবশ্যই পালনীয় ও করণীয়। রোগীদের কষ্টকে ধারণ করে এবং রোগীদের ব্যাথাকে অনুভব করে সেবা দিতে হবে। রোগীর নিরঙ্কুশ অটোনোমিকে যথাযথ মূল্য দিতে হবে। শুধু চিকিৎসকদের নৈতিকতা নয়, সেবাখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেরই নৈতিকতা নিশ্চিত করা জরুরি। একই সাথে চিকিৎসাপেশার সাথে জড়িত সকলেরই নিরাপত্তাও নিশ্চিত করাটাও অপরিহার্য।

ঢাকাটাইমস/১৭ এপ্রিল/এএ/ইএস