`বিনামূল্যে ফ্যাক্টর ইনজেকশন সরবরাহে কমবে হিমোফিলিয়া‘

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ২১:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

রক্তক্ষরণজনিত রোগ হিমোফিলিয়াকে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। বিনামূল্যে ফ্যাক্টর ইনজেকশন সরবরাহসহ হিমোফিলিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম কমানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বিএসএমএমইউয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য রালিরও উদ্বোধন করেন উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। পরে সেখানে প্রবন্ধ লিখন ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য `প্রচার-উপযুক্ত চিকিৎসার প্রথম পদক্ষেপ`।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশের প্রান্তিক ও দুর্গম অঞ্চলে হিমোফিলিয়া সম্পর্কে প্রচার ও রোগী সনাক্তকরণই হচ্ছে এই রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার প্রথম পদক্ষেপ। বাংলাদেশে হিমোফিলিয়া রোগীদের ভোগান্তি ও দুঃখ দুর্দশা লাঘব এবং চিকিৎসার সুবিধার্থে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো (ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল) হিমোফিলিয়াকে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। রোগীদের চিহ্নিত করে কমপক্ষে বিএসএমএমএমইউ ও বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারিভাবে বিনামূল্যে ফ্যাক্টর ইনজেকশন সরবরাহসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তারাও।

হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম ও কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ। স্বাগত বক্তব্য দেন হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি নূরুল ইসলাম। হিমোফিলিয়া কি ও করণীয় বিষয়ে বক্তব্য দেন ডা. শফিকুল ইসলাম, ডা. হুমায়রা নাজনীন। রোগী প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিরাও এতে বক্তব্য দেন।

দুই শতাধিক হিমোফিলিয়া রোগী ও পরিবারের সদস্য, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা  সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

(ঢাকাটাইমস/১৭ এপ্রিল/এএ/এআর)