ডিজিটাল ডায়েটিং কী, কেন করবেন?

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:২৯ | প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:২৪

মোবাইলটি হাত থেকে রাখলেই যেন অনেক কিছু মিস হয়ে যাবে – এমন আতঙ্ক আজকাল অনেকের মধ্যেই কাজ করে৷ এই ‘ডিজিটাল রোগ’ থেকে সহজে বের হওয়ার উপায় জানিয়েছেন জার্মান প্রযুক্তিবিদ৷

ঘাড়ে ব্যথা

সর্বশেষ খবর, ই-মেল কিংবা স্যোশাল মিডিয়ায় যোগাযোগ রাখার জন্য অনেকেই দিনের কয়েকটা ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন মোবাইল বা স্মার্টফোনে৷ নীচের দিকে তাকিয়ে এত দীর্ঘ সময় কথা বলার কারণে ঘাড়ে চাপ পরে এবং ব্যথা হয়, যা প্রথমদিকে সেভাবে বোঝা না গেলেও ধীরে ধীরে জটিল হয়ে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷

মনোযোগ এবং উৎপাদনশীলতা কমে যায়

যে ব্যক্তি দিনে দুই ঘণ্টা বা তার বেশি সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করে তার অন্যদিকে মনোযোগ এবং ‘প্রোডাক্টিভিটি’ কমে যায়৷ শুধু তাই নয়, কোনো এক সময় এ অবস্থা থেকে ‘বার্নআউট’ও শুরু হতে পারে৷ অনেকে ছুটিতে গেলেও মোবাইল ও ল্যাপটপ হাতছাড়া করতে চাননা, উত্তর দিয়ে থাকেন অ-দরকারি ইমেইলেরও৷ যদি তাই হয় তাহলে আর টাকা খরচ করে ছুটিতে না গিয়ে বাড়িতে থাকাই শ্রেয়৷ এমনটাই জানান বিশেষজ্ঞ৷

কীভাবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব?

যেকোনো ডায়েটিংয়ের মতো ডিজিটাল ডায়েটও খুব কঠিন৷ বিশেষ করে এই নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই নিজের ওপর নির্ভর করে৷ নিজেকেই ঠিক করতে হবে, কোন ইমেইল বা মেসেজের উত্তর আপনি দিতে চান আর কোনটা চান না৷ ঠিক যেমন, ওজন কমাতে চাইলে কিছু খাবার থেকে নিজেকে দূরে থাকতে হয়, সেরকম ‘ডিজিটাল ডায়েটের’ ক্ষেত্রেও মোবাইলের মতো কিছু জিনিস বাদ দিতে হয়৷

দিনে ৫৩ বার!

মোবাইল অ্যাপের জন্য ৬০ হাজার মোবাইল ব্যবহারকারী নিয়ে বন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে যে মোবাইল ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতি ১৮মিনিট অন্তর দিনে ৫৩ বার স্মার্টফোন ব্যবহার করেন৷

সবাইকে জানিয়ে দিন

জার্মান প্রযুক্তিবিদ আলেকজান্ডার মার্কোভিৎস জানান, ‘যারা সত্যিই ডিজিটাল ডায়েটিং করতে চান তারা সপ্তাহে একদিন মোবাইলটি বাড়িতে রেখে যান৷ আর হ্যাঁ, সে কথা আগে থেকেই বন্ধু আর পরিচিতদের জানিয়ে দিন, যাতে কিছু হারাবার কোনো ভয় বা আতঙ্ক না থাকে৷’

ঢাকা টাইমস/১৮এপ্রিল/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :