নুসরাত হত্যা

এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল কাদের ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
নুসরাত জাহান রাফি

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হাফেজ আবদুল কাদের মানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকার ৬০ ফিট এলাকা সংলগ্ন ছাপড়া মসজিদের পাশের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআইয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আব্দুল কাদের নুসরাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মনছুর খান পাঠানবাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে। সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের এই শিক্ষক একই মাদ্রাসায় ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করতেন। তিনি অধ্যক্ষ সিরাজের অনুগত হিসেবে মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকত।

৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার পরদিন মালামাল নিয়ে হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে যায় আব্দুল কাদের। ৮ এপ্রিল কাদেরসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান মামলা করার পর সে আত্মগোপনে চলে যায়। তাকে ধরতে অভিযান চালায় পিবিআই। অবশেষে গতকাল রাতে পিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ে আব্দুল কাদের।

চাঞ্চল্যকর এই মামলাটিতে আব্দুল কাদেরকে নিয়ে এজাহারভুক্ত আট আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই। এছাড়া এই ঘটনার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আরও ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছে। তারা ফেনী কারাগারে রয়েছে। তাদের মধ্যে শামীম ও নুর উদ্দিন দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় মামলা করেন নুসরাতের মা। এরপর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরিবারটিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তবে প্রতিবাদে অনড় ছিলেন নুসরাত।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় বোরকা পরা ৪/৫জন নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এএ/এমআর