মোটর মালিকদের দ্বন্দ্বে খুন হন বিএনপি নেতা শাহীন

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:২১

বগুড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
বিএনপি নেতা শাহীনকে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার দুজন

জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের কারণেই বগুড়া জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম শাহীন খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁঞা। হত্যাকাণ্ডের ওই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন বগুড়ার নিশিন্দারা মন্ডলপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল এবং নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মৃত কালুর ছেলে পায়েল শেখ।

গত বুধবার ভোরে রাসেলকে তার নিশিন্দারার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ঘটনায় ব্যবহৃত কালো পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যানুসারে পায়েল শেখকে গাবতলীর কাগইল ইউনিয়নের আমলিচুকাই গ্রামের তার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পায়েলের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় নয়টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য দেয়। গ্রেপ্তারদের আদালতে তোলার পর ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান আলী আশরাফ ভুঁঞা।

পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর মোটর মালিক গ্রুপের এক নেতার অফিসে গোপন বৈঠক হয়। সেখানে ওই নেতার সঙ্গে তার একজন সার্বক্ষণিক সহযোগী, বগুড়ার চারমাথা এলাকার একজন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অফিস রুমের বাইরে ছিলেন কয়েকজন। বৈঠকে মোটর মালিক সমিতির বিবাদী পক্ষের অন্যতম নেতা মাহবুবুল আলম শাহীনকে নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত মোটর মালিক গ্রুপের নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং আরও একজন তাদের লোকজনদের খবর দেয় এবং চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল উপশহর বাজারে গিয়ে অপেক্ষায় থাকে। এর আগে ওই স্থানে অবস্থান করা এক ব্যক্তি চারমাথার ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীকে মোবাইলে খবর দিলে গ্রেপ্তার পায়েল শেখ, রাসেল এবং আরও ৮/৯ জন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে।

রাতে নিশিন্দারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমুদ্দিন এবং মোটর মালিক সমিতির হিসাবরক্ষক বাপ্পির সঙ্গে গল্প করছিলেন বিএনপি নেতা শাহীন। এ সময় মোবাইলে ফোন আসলে তিনি কথা বলতে বলতে একটু সরে যান। এই সুযোগে আসামিরা তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। পরে শাহীন পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে নিশিন্দারার দিকে চলে যায়।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান বগুড়া পুলিশ সুপার।

ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/প্রতিনিধি/এমআর