দিনদুপুরে পুকুর থেকে মাছ লুট!

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৪৮

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোর উপজেলার একটি পুকুর থেকে দিনদুপুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে রাজশাহীর আদালতে দুটি মামলা হয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকার মাছচাষি শহিদুল্লাহ খান বাদশা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

মামলার প্রধান আসামির নাম আবু তালহা মো. ফয়সাল খান। নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকায় ফয়সাল খানের কাছ থেকেই জমি ইজারা নিয়ে পুকুরে কেটেছিলেন বাদশা। এরপর সেখানে মাছ চাষ করা হলে ফয়সাল খানই মাছ ধরে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদশা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তানোরের বাগধানি এলাকায় বাদশার ১০ কাঠা জমি আছে। এই জমির পাশে সাড়ে ৮ বিঘা জমি আছে ফয়সাল খানের। গত বছর বাদশা বছরে প্রতিবিঘা ২০ হাজার টাকায় ১০ বছরের জন্য ফয়সালের জমিটি ইজারা নেন। এ নিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তি করা হয়। এরপর বাদশা নিজের ও ফয়সালের জমিতে একটি পুকুর কেটে মাছ চাষ শুরু করেন।

কিন্তু গত ২ এপ্রিল ফয়সাল খান ও তার ভাই খালেদ খান ১৫-২০ জন জেলে ভাড়া করে পুকুরে বিষপ্রয়োগ করেন। এরপর জাল ফেলে তারা রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার কার্পসহ নানা প্রজাতির লুট করে নিয়ে যান।

বিষয়টি নিয়ে গত ৯ ও ১০ এপ্রিল বাদশা আদালতে মামলা করেন। মামলায় ফয়সাল ও খালেদ ছাড়াও রফিকুল ইসলাম মিন্টু, রবিউল ইসলাম সঞ্জু, আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, এবাদ আলী, মো. রাজু ও মো. নুজুসহ ৮-৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

বাদশা জানান, মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার কারণে তার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে তানোর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। এজন্য পরবর্তীতে তিনি আদালতে মামলা করেন।

বাদশা বলেন, ফয়সাল এখন পুকুরটি বেশি টাকায় অন্যজনকে ইজারা দিতে চান। এজন্য তাকে পুকুর থেকে বিতাড়িত করতে মাছ লুট করা হয়েছে। এজন্য তিনি মাছ লুটের একটি এবং ফয়সাল যেন পুকুরে নামতে না পারেন তার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়সাল খান বলেন, ১০ বছরের চুক্তি হলেও বাদশা প্রথম বছরের পর দ্বিতীয় বছরের ইজারার টাকা দিতে পারেননি। এজন্য পুকুরের মাছ, সাপ ‘পরিষ্কার’ করা হয়েছে। এখন পুকুরটি অন্যজনকে ইজারা দেয়া হবে।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, মামলার কাগজপত্র এখনও আদালত থেকে থানায় আসেনি। কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/আরআর/এমআর