আদালতের আদেশ অমান্য করায় সরকারি কর্মচারীর জেল

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৩৯

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মায়ের কাছে সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ অমান্য করায় দিনাজপুর গণপূর্ত বিভাগের এক অফিস সহকারী ও মুদ্রাক্ষরিককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তার নাম সেলিম লিটন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের (দেবীগঞ্জ উপজেলা) বিচারক ভগবতী রাণী এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে পঞ্চগড়েরর পামুলী ইউনিয়নের হেদায়েতপুর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে সিফাত-ই-তানজিলার সঙ্গে দিনাজপুর জেলা উপশহর এলাকার সেরাজ উদ্দিনের ছেলে লিটনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিন বছর পর ওই দম্পত্তির একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু দাম্পত্য কলহের কারণে ২০১৬ সালের জুনে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর সন্তান নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এক পর্যায়ে শালিসের কথা বলে সেলিম লিটন তাদের সাত বছর বয়সী ছেলে সাফওয়ান আহমদকে নিয়ে পালিয়ে যান।

সন্তানকে ফিরে পাওয়ার জন্য সিফাত-ই- তানজিলা সিজতি ২০১৭ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতের বিচারক মিনহাজুর রহমান ১৫ দিনের মধ্যে সন্তানকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। পরে সেলিম লিটন জেলা জজ ও পারিবারিক আপিল আদালতে আপিল করেন। কিন্তু আদালতের বিচারক পূর্বের রায় বহাল রাখেন এবং ১৮ এপ্রিল সন্তানসহ সেলিম লিটনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেলিম তার সন্তানকে আদালতে হাজির না করায় আদালত তাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী একেএম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের বলেন, সেলিম লিটন আদালতের আদেশ অমান্য করায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে লিটন তার সন্তানকে আদালতে হাজির না করলে তিন মাস পর আদালত আবারও তার বিরুদ্ধে সাজার নির্দেশ দিতে পারেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/ইএস)