গাজীপুরে জেলা শিক্ষা অফিসে দুদকের অভিযান

শিক্ষকদের এমপিও করাতে ঘুষ নেওয়ার তথ্য মিলেছে

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০৩

গাজীপুর প্রতিবেদক

গাজীপুরে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও করাতে গেলে উপজেলা পর্যায়ে ঘুষ, দূর্নীতির শিকার হতে হয় এমন তথ্য দুদক উদঘাটন করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন একজন কর্মকতর্অ।

গাজীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা পরিদর্শন করার পর ঘুষ-বাণিজ্য বন্ধে বুধবার জেলা শিক্ষা অফিসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা হয়েছে।

এর আগে ‘ঘুষের হাট’ শিরোনামে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এমপিও, টাইম স্কেলসহ বিভিন্ন অজুহাতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ঘুষ নেয়ার খবর পত্রিকায় প্রকাশের পর মঙ্গলবার সরেজমিনে তদন্তে যান দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকরী পরিচালক (দুদক) শেখ গোলাম মাওলা এবং উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার নিলুফার ইয়াসমিন ।

দুদকের সহকরী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা জানান, ‘গাজীপুরে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও করাতে গেলে উপজেলা পর্যায়ে যে ঘুষ, দুর্নীতির শিকার হতে হয়, তা আমরা উদঘাটন করতে পেরেছি। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে সভা করার এবং তাদের অফিস আদেশ দিতে।’ পরবর্তী সময়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েচে বলে জানান তিনি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, দুদকের নির্দেশনা মোতাবেক বুধবার গাজীপুরের পাঁচ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক হয়েছে।

কোনো শিক্ষক-কর্মচারী শিক্ষা অফিসে গেলে প্রয়োজন উল্লেখপূর্বক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে চিঠি ছাড়া কাউকে ওই অফিসে ঢুকতে দেয়া যাবে না, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও এবং উচ্চতর স্কেল হওয়ার জন্য কোনো টাকা লাগে না তা অবগত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া এবং কেউ যাতে দালালের খপ্পরে না পড়েন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে সচেতন করতে বলা হয় বৈঠকে।

গাজীপুর জেলা অফিস এবং তাকে ঘিরে ঘুষ-বাণিজ্যের যে খবর ছাপানো হয়েছে তা সঠিক নয় দাবি করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, তিনি তার অফিসেরই দুজন কর্মচারীর ষড়যন্ত্রের শিকার। ইতোমধ্যে তাদের শোকজ করা হয়েছে এবং দুদক কর্মকর্তারাও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

রেবেকা সুলতানা আরও বলেন, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও এবং টাইমস্কেলসহ যাবতীয় কাজ যথানিয়মে অনলাইনে পাঠানো হয়। আবেদনকারীরা প্রথমে অনলাইনে উপজেলা শিক্ষা অফিসে তাদের আবেদন করেন। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সব ঠিকঠাক থাকলে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয় এবং জেলা শিক্ষা অফিস থেকে যাচাই-বাছাই করে জেলা শিক্ষা অফিসার নিজে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে অনলাইনের মাধমেই তা পাঠান।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/মোআ)