নুসরাত হত্যা: আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধানে সিআইডি

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১২:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
নুসরাত জাহান রাফি

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে অর্থ লেনদেন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কিংবা ঘটনা ধামাচাপা দিতে কোনো অবৈধ লেনদেন হয়েছে কিনা এবং এসব লেনদেনের সঙ্গে কারা কারা জড়িত সিআইডি সেসব খুঁজে করতে কাজ শুরু করছে।

সিআইডির সিনিয়র সহকারী বিশেষ পুলিশ সুপার শারমিন জাহান শুক্রবার সকালে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। সত্যিই যদি অর্থ লেনদেন হয় তাহলে অর্থ যোগানদাতাকে খুঁজে বের করা হবে।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় মামলা করেন নুসরাতের মা। এরপর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরিবারটিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তবে প্রতিবাদে অনড় ছিলেন নুসরাত।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় বোরকা পরা ৪/৫জন নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির এজাহারভুক্ত আট আসামিকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই। এছাড়া এই ঘটনার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আরও ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছে। তারা ফেনী কারাগারে রয়েছে। তাদের মধ্যে শাহাদত হোসেন শামীম, নুর উদ্দিন, আব্দুর রহিম ও আব্দুল কাদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার ছাত্র। জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার নির্দেশে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/এমআর