চাঁদপুরে ১৭ জেলেকে জেল-জরিমানা

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৩০ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৩৩

চাঁদপুর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুরের মেঘনায় মাছ ধরার অপরাধে ১৭ জেলেকে দণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে ১৩ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং বাকি চারজনকে বয়স বিবেচনায় অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন দিদার(১৯), দেলু সৈয়াল (২৮), জাকির (১৮), মাসুম (২৭), সাইফুল ইসলাম (৩০), তাজুল ইসলাম (২৩), শাহীন (২৫), রোমান (১৯), নাজির বেপারী (২৫), আ. হান্নান খান (৩০), আবুল বাসার (২৫) ও সুজন হোসেন(২৮)।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম।

চাঁদপুর নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত টানা অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিনি কক্সবাজার খ্যাত পর্যটন স্পট, গোয়ালিয়র চর, রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী পুরো এলাকা, শরীয়তপুর সীমান্ত সংলগ্ন কাটাখালি, সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরি এলাকা, আনন্দবাজার, টিলাবাড়ি এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৬৩টি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার নৌকা আটক করে ব্যবহারের অনুপযোগী করা হয়। পাঁচটি মাছের আড়ৎ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এ সময় পৌনে চার লাখ মিটার কারেন্ট জাল আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়, আটক এক মণ জাটকা গরিব দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর নৌ থানার ওসি আবু তাহের, কোস্টগার্ড কমান্ডার আবদুল মালেক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, রাজ রাজেস্বর ইউনিয়নের কাটাখালি ও সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরির কাছে জেলেরা টিমের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে আত্মরক্ষার্থে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। জেলেদের ছোড়া ইটে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মাথায় এবং আমার গলায় আঘাত লাগে।

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/জেবি)