কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৫০

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে যৌতুকের দাবিতে পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা মোমেনা আক্তার টুম্পা নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার দুপুরে নিহতের শ্বশুর বাড়ি উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের পালোয়ান বাড়ির বাথরুম থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

নিহত ওই গৃহবধূ একই উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের উরকুটি গ্রামের আনোয়ার উল্লা মজুমদারের (হারুন) মেয়ে। টুম্পার মৃত্যুর পর থেকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।

নিহতের ভাই নিজাম উদ্দিন ও মহিনউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘গত সাত মাস আগে উপজেলার মদনপুর গ্রামের পালোয়ান বাড়ির আমিন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার সাথে পারিবারিকভাবে টুম্পার বিয়ে হয়। গত ৪ এপ্রিল টুম্পাকে তার স্বামী দুলাল ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আনুষ্ঠানিকভাবে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে তুলে আনেন। ৭ এপ্রিল টুম্পা একদিনের জন্য বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসে ৮ এপ্রিল বাপের বাড়ি থেকে শেষ বিদায় নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। শ্বশুর বাড়িতে আসার পর থেকে টুম্পাকে তার স্বামী দুলাল, শ্বাশুড়ি শ্যামলা বেগম, ননদ ফেরদাউস, ভুলু বেগম, ভুলুর স্বামী লিটন, দেবর হামিদ, জ্যা পলি ও ননদের স্বামী বাচ্চু মিয়া যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন। শ্বশুর বাড়ির যে কোন জিনিস ব্যবহার করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বলতেন, তোর বাপের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র এনে ব্যবহার কর। এ বাড়ির কোন জিনিস ব্যবহার করতে পারবি না। এছাড়া টুম্পা শ্বশুর বাড়িতে আসার পর থেকে তার স্বামী বাপের বাড়ির লোকজন ও আত্মীয়স্বজনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে দেয়নি।’

তারা আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে টুম্পার মুঠোফোনে কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। টুম্পার স্বামী দুলালের মুঠোফোনে বারবার কল করলে সে ফোন রিসিভ করেনি। পরে ফুফাতো বোন নাছিমার মাধ্যমে (১৯ এপ্রিল) শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বোন টুম্পার মৃত্যুর খবর পাই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে টুম্পার শ্বশুর বাড়ির বাথরুমের কমেটের উপর শোয়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। তারা বোন হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক ফরিদ আহম্মেদ জানান, টুম্পার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/এলএ)