টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি কিশোরী ধর্ষণ: অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৩০ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসা এক পাকিস্তানি কিশোরী (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনার দুদিন পার হলেও জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ধর্ষকের মা আনোয়ারা বেগম (৪৭)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে গোপালপুর থানায় একটি মামলা করেন।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় মূল অভিযুক্ত আল আমিন ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাই ওয়েজ রোডের বাসিন্দা। সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

ওই ছাত্রীর বাবা ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। গত বছরের ২২ নভেম্বর ওই ছাত্রীর মা মেয়েকে নিয়ে ছয় মাসের ভিসায় প্রথমবারের মতো স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। বাংলাদেশে আসার পর তিনি উত্তর গোপালপুর গ্রামে স্বামীর বড় বড় ভাইয়ের বাড়িতে ওঠেন। সেখানে ওঠার পর থেকেই আরেক ভাই আবুল হোসেনের ছেলে কলেজছাত্র আল আমিন নিজের চাচাতো বোন ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবেও ফয়সালার চেষ্টা করা হয়। 

এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার কথা  শুনে আল আমিন ক্ষুব্ধ হয়। 

পরে গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল যুবকের সহযোগিতায় আল আমিন তার চাচা আব্দুল ওয়াদুদের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে কৌশলে 
অপহরণ করে। এরপর আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল রাতে আল আমিনসহ তিনজনকে আসামি করে কিশোরীর মা গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে বৃহস্পতিবার ভোররাতে পুলিশ জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের একটি বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আল আমিনের মা আনোয়ারা বেগমকে (৪৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ওসি হাসান আল মামুন জানান, ‘এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা  হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষকের মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই কিশোরী তার মাকে নিয়ে বর্তমানে কালিহাতী উপজেলার এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছেন। সেখানে তাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে  কিনা সেব্যাপারেও খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। 

ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/ইএস