জিন তাড়াতে গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন
প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৫৬ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:০২
ভোলায় জিন তাড়ানোর নামে এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন লাগিয়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আগুনে জোসনা বেগম নামের ওই গৃহবধূর শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। জোসনা বেগম সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাওলা গ্রামের প্রবাসী জসিমের স্ত্রী।
অগ্নিদগ্ধ জোসনা বেগমের মা মাহফুজা জানান, কিছুদিন ধরে তার মেয়ে জোসনা বেগম (৪৫) অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এটাকে জিনের আছর মনে করে তারা পাশ্ব¦র্তী গ্রামের কবিরাজ বেলায়েত হোসেনকে জানান। আর তিনি চিকিৎসার দায়িত্ব দেন তার নাতনি শিশু কবিরাজ খ্যাত রুনা বেগমকে (১৩)। বৃহস্পতিবার রাতে জোসনা বেগমের গায়ে কেরোসিন মেখে আগরবাতি ও ধূপ জ্বালিয়ে ঝাড় ফুঁক দিতে থাকেন শিশু কবিরাজ রুনা বেগম। এক পর্যায়ে জোসনা বেগমের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় শিশু কবিরাজ। পরে জোসনা বেগমের ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে রাতেই তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার বিকালে অভিযান চালিয়ে কবিরাজ বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রী অহিদা বেগমকে আটক করেছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/ইএস