ফ্যাশনশিল্পের বর্জ্যে দূষণ বাড়ছে

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসি) মতে, পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি গ্রহণ না করায় ফ্যাশনশিল্পে বর্জ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দূষণ। ২০৩০ সালের মধ্যে বর্জ্য নিঃসরণ বৃদ্ধি পাবে ৬০ শতাংশ।

আর ২০৫০ সালের মধ্যে ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন হবে বর্তমানে বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের তিন গুণ সম্পদ। ফলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে গিয়ে পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

তাই ফ্যাশনশিল্পের বর্জ্যরে ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করা সময়ের দাবি।
শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ফ্যাশন খাত নিয়ে আয়োজিত ‘ভয়সেস অ্যান্ড সল্যুশন: ফ্যাশনশিল্পে টেকসই উৎপাদন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য উঠে আসে।

‘ফ্যাশন রেভল্যুশন এবং অ্যাকশন এইড’ আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ফ্যাশন রেভল্যুশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর নওশীন খায়ের।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, ‘আমরা যখন গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করছিলাম তখন আমাদের এ সম্পর্কে সচেতনতার শিক্ষা কেউ দেয়নি। আমি যখন নিজেই ৯০-এর দিকে কোনাবাড়িতে ডাইংয়ের ব্যবসা শুরু করি তখন কিন্তু কেউ আমাকে বলেনি এর পানি কোন দিক দিয়ে প্রবাহিত করব।’ তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমীক্ষা করে করণীয় নির্ধারণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী ফ্যাশনশিল্পের প্রায় তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের বাজার রয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম  দেশ।

এই ফ্যাশন খাত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দূষণকারী খাত বলে বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে। ফ্যাশন খাত বিশ্বের ২০ শতাংশ বর্জ্য পানি এবং ১০ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের জন্য দায়ী। একই সঙ্গে তুলা চাষ ২০ শতাংশ কীটনাশক বস্তু এবং ১০ শতাংশ কীটনাশক উৎপাদনের জন্য দায়ী। এই খাতে মাত্র ১৫ শতাংশ বর্জ্য পুনরায় ব্যবহার করা যায়। ফলে ৮৫ শতাংশ বর্জ্যই প্রকৃতিতে ফেরত আসে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে বক্তারা পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে ফ্যাশন শিল্পখাতে টেকসই উৎপাদনের তাগিদ দেন।
অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান, নিউ এজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম, অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ পরিচালক শরীফ জহির এবং কিউটেক্স সল্যুশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তহুরা খানম।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/জেআর/ইএস/মোআ)