মেহেরপুরে কৃষকের ফসল নষ্ট করছে হনুমানের দল

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৩১

মেহেরপুর প্রতিবেদক

মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দলছুট হুনুমান থাকলেও গাংনীর সহড়াতলা গ্রামে বাচ্চা দিয়েছে অন্তত ২০টি মা হুনুমান। প্রথম দিকে গ্রামবাসীদের কাছে হনুমান আনন্দেন ও দর্শনীয় প্রাণী হলেও এখন এগুলোর অত্যাচারে অতীষ্ট তারা। হনুমানের দল নষ্ট করছে খেতের ফসল।

স্থানীয় লোকজন বলছে, ভারত থেকে এসব হনুমান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ফসলের ক্ষতি কমাতে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা বলছে উপজেলা  প্রশাসন।

বনজঙ্গল না থাকায় প্রাকৃতিকভাবেই মেহেরপুরে হনুমানের কোনো আবাসস্থল বা বসবাস নেই। বেশ কয়েক মাস আগে গাংনী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী সহড়াতলা গ্রামে দেখা মেলে কয়েকটি দলছুট হনুমানের। এরপর বাড়তে থাকে এদের সংখ্যা।

হনুমানের আগমনে স্থানীয়রা প্রথমে তেমন পাত্তা দেয়নি বরং খুশি হয়েছিল। অনেকে আবার শখ করে খাবার দেয় এদের। এরপর এখানেই বাচ্চা জন্ম দিয়েছে মা হনুমানগুলো। দল বেঁধে ছুটছে এগাছ থেকে ওগাছ। দিনে দিনে সংখ্যা বেড়েছে হনুমানের, পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় হনুমানের দল এখন ক্ষতি করছে ফসলের মাঠে।

বাঁশবাগান অথবা বড় গাছে অবস্থান নিলেও ক্ষুধা পেলে সুযোগ বুঝে খেতের ছোলা, কলা, ভুট্টা, পেয়ারা, আমগাছ- সবখানেই হানা দিচ্ছে এরা। নিজে খাওয়ার পাশাপাশি নষ্ট করছে অনেক ফসল।

হনুমান থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকরা তীর-ধনুক ও গুলতি ব্যবহার করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, ভারত থেকে এসব হনুমান এখানে এসে বাচ্চা দিয়ে অনেক হয়ে গেছে।

সহড়াতলা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সাজু মিয়া বলেন, হনুমানগুলো ভারত থেকে এসেছে। এখানে এসে প্রচুর বাচ্চা দিয়েছে। ফসলসহ আম-জাম, কলা সবকিছুই এরা খায়। এদের তাড়ানোর জন্য গুলতি তীর-ধনুক ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কিছুক্ষণের জন্য পালালেও আবার ঘুরে আসছে। তাড়া করে কোনো লাভ হচ্ছে না।

মহাব্বত আলী নামের একজন জানান, শুধু ফসলেল মাঠ নয়, ঘরেও আসছে। সব ফসলই এরা নষ্ট করছে। তাড়া করলে হনুমানগুলো উল্টো ভয় দেখাচ্ছে।

হনুমানে ফসলের ক্ষতির অভিযোগ পেয়েছেন গাংনী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় অংশ থেকে কিছু  হনুমান দেশে এসেছে এবং বংশ বিস্তার করে সংখ্যায় বাড়ছে এরা। স্থানীয় কৃষকদের ফসলের ক্ষতি করছে এমন অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। যেহেতু বন্য প্রাণী আমরা হত্যা করতে পারি না, সেজন্য স্থানীয় জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বন এবং যাতে ফসলের ক্ষতি কম হয় সেজন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/মোআ)