ফরিদপুরে সাধুদের গণহত্যা করা হয় আজ

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৫৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

১৯৭১ সালের এই দিনে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার মহানাম সম্প্রদায়ের শ্রীঅঙ্গনে প্রার্থনারত সাধুদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি স্মরণ করেন সবাই।

এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন রবিবার সকাল ১০টার সময় শোভাযাত্রা বের হয়। পরে ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল নিহত সাধুদের স্মরণে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করা হয়। এ সময় শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে সকালে পূজা অর্চনা করা হয়। এছাড়াও দুুপুরের দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।

কর্মসূচি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তরা বলেন, ৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনী নির্মমভাবে গণহত্যা চালায় সাধুদের ওপর। গণহত্যা এই ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুধে ধরার জন্য বক্তরা সরকারের কাছে এই স্থানে একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি আহবান জানান।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপটেন (অব) নূর মোহাম্মদ বাবুল, জাসদের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন তারা, সিদ্দিক মোল্লা, মোহাম্মদ আলী দেওয়ান, বাউল শিল্পী পাগলা বাবলু, ইয়া হিয়া মিলন প্রমুখ।

শ্রীঅঙ্গনের নিহত আট সাধু হলেন কীর্তনরত ব্রহ্মচারী, নিদানবন্ধু ব্রহ্মচারী, অন্ধকানাই ব্রহ্মচারী, বন্ধুদাস ব্রহ্মচারী, ক্ষিতিবন্ধু ব্রহ্মচারী, গৌরবন্ধু ব্রহ্মচারী, চিরবন্ধু ব্রহ্মচারী ও রবিদাস ব্রহ্মচারী।

ফরিদপুর মহানাম সম্প্রদায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ বন্ধুসেবক ব্রক্ষচারী জানান, পাকিস্তানি হানাদাররা ২১ এপ্রিল ভোরে গোয়ালন্দঘাট হয়ে সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকেই শহরের দিকে গোলাবারুদ নিক্ষেপ করতে থাকে একের পর এক।

সন্ধ্যার পর শহরে ঢুকে প্রথমেই গোয়ালচামট শ্রীঅঙ্গনে মহানাম সম্প্রদায়ের ৮ সাধুকে কীর্তনরত অবস্থায় হত্যা করে। গৃহত্যাগী এ ৮ সন্ন্যাসীই মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুরের প্রথম শহীদ হন।

ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/ইএস